Old age allowance
বিজেপির সুশাসনের ত্রিপুরায় ভাতা নিয়ে ও রাজনীতি, হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হল তিন জনের বৃদ্ধ ভাতা
বৃদ্ধাবস্থায় সরকারি ভাতা একটি বিশাল রকমের ভরসা। হাজার দু হাজার টাকার ভাতা দিয়ে শেষ বয়সে হয়তো অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধার মাস গুজরান হয়ে যায়। কারো কারো ঔষধ পত্রের খরচ টুকু চলে যায়। শরীরের শক্তি যখন সাথ ছেড়ে দেয়, তখন যাতে অর্থের জন্যে কোনো প্রবীণের শেষ দিন গুলো কষ্ট না করতে হয় সেই দিকে তাকিয়েই এই ভাতা প্রদানের নিয়ম চালু হয়েছিল। কিন্তু কিছু দুষ্ট এবং লোভী মানুষ আজকাল এই প্রবীণ দের অধিকার টুকু ও নিজের পকেটে পুরে নিয়ে যেতে বসেছে। তার উপর রাজনীতি রয়েছে সেটা আলাদা ব্যাপার। আপনি বিরোধী দল কে সমর্থন করলে আপনার ভাতা তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হবে।
এই চলছে সুশাসনের ত্রিপুরায়। আবারো ভাতা নিয়ে সমস্যা দেখা দিল সুশাসনের ত্রিপুরায়।
একই এলাকার দুই পরিবারের তিন জন সদস্য বৃদ্ধ ভাতা থেকে বঞ্চিত। জানা গেছে গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত যুগল কিশোর নগর রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়ধন সরকার এবং হিরনবাসী সরকার এই দম্পতি দীর্ঘদিন আগে থেকেই সরকারি বৃদ্ধ ভাতা পেতেন এবং তারা সেই ভাতার টাকা প্রতিমাসে ঔষধ কেনার কাজে লাগাতেন। কিন্তু গত চার মাস আগে আচমকা কোন এক অজ্ঞাত কারণে তাদের বৃদ্ধ ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা এই বিষয়ে জম্পুইজলা আর ডি ব্লক এ গিয়ে জানান এবং পুনরায় ভাতা চালু হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন । তখন ব্লক থেকে তাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তাদের ভাতা নাকি খুব শীঘ্রই আবার চালু হয়ে যাবে। কিন্তু আজ প্রায় ৪ মাস অতিক্রম হতে চললেও ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন রায়ধন সরকার এবং হিরনবাসী সরকার।
পাশাপাশি হিরনবাসী সরকারের ৬৪ বছরের ছেলে ঠাকুরধন সরকার ও গত এক বছর ধরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। তিনিও ভাতার জন্য একাধিকবার আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন । তখন উনাকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যেহেতু উনি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রুগী তাই খুব শীঘ্রই উনাকে ভাতা প্রদান করা হবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত উনি ভাতা পাননি।
ঠাকুরধন সরকার জানিয়েছেন উনার পরিবার অত্যন্ত গরিব পরিবার । নুন আনতে পান্তা ফুঁড়বার অবস্থা। তাই যদি তারা ভাতার টাকা টুকু পেতেন তাহলে অন্তত উনি ঔষধ কিনতে পারতেন । কিন্তু উনার ভাগ্যে সেটাও জুটলো না। তবে দুই পরিবারের তিন ব্যক্তি ভাতা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পিছনে এলাকাবাসীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেই বিশেষভাবে দায়ী করছেন। সোমবার সকালে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে রায়ধন সরকার, হিরণবাসি সরকার এবং উনার ক্যান্সার আক্রান্ত ছেলে ঠাকুরধন সরকার রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানিয়েছেন সরকার যেন খুব শীঘ্রই তাদের ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়। এখন দেখার বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের সুশাসনের ত্রিপুরায় ভাতা নিয়ে রাজনীতি কিংবা গাফিলতি গুলোতে লাগাম টানতে কি পদক্ষেপ নেয় সরকার।