Mati got its radio collar
জনবসতি এলাকাগুলিতে বন্য দাঁতাল হাতির প্রবেশ রোধে আবারো উদ্যোগ নিল বনদপ্তর। দীর্ঘ তিন দশক ধরে তেলিয়ামুড়া মহকুমা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দাঁতাল হাতির পাল প্রায় রোজই কোন না কোন জায়গায় জনবসতি এলাকায় প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাঙচুর, ফসল নষ্ট থেকে শুরু করে প্রাণ ও কেড়ে নিচ্ছে স্থানীয় মানুষদের। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষেরা বন্য হাতির আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য দাবী করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ । বিগত দিনে তেলিয়ামুড়া মহকুমার উত্তর মহারানী, কপালি বস্তি কৃষ্ণপুরের বিচ্ছিন্ন এলাকা, চাকমা ঘাটের আশপাশ এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। নষ্ট হয়েছে মানুষের বাড়িঘর সহ ফসল ইত্যাদি। এর থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন, রাস্তা অবরোধ, ডেপুটেশন দেওয়া হয় এলাকাবাসীর তরফ থেকে। সরকারি ভাবেও প্রতিবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয় নি। বিভিন্ন সময়ে বনদপ্তর হাতির লোকালয়ে প্রবেশ রোধে নানান পরিকল্পনা নিয়েছে এবং তা বাস্তবায়িত করেছে। কিন্তু কোন কিছুতেই হাতির লোকালয়ে প্রবেশ রোধ করতে পারছে না।শেষে রবিবার হাতির আক্রমণ থেকে মানুষকে নিস্তার দিতে উদ্যোগ নিতে দেখা গেল দপ্তরকে । হাতির দলের মধ্যে বেশি আক্রমনাত্মক মতি নামের একটি হাতি রয়েছে। এই মতির আক্রমণের শিকার হয়ে প্রাণহানীও হয়েছে বলে খবর। এই আক্রমণাত্মক মতির গতিবিধি জানার জন্য রেডিও কলার পরানোর অভিযানে নামে ববনদপ্তরের এক বিশাল টিম। আঠারমুড়া জংগল থেকে শুরু করে, ডি এম কলোনি, উত্তর মহারাণীপুর সহ বিস্তির্ণ এলাকায় এই টিম চষে বেরাচ্ছে মতিকে রেডিও কলার পরানোর জন্য। রবিবার ভোর থেকেই শুরু হয় এই অভিযান। যতক্ষন না পর্যন্ত এ কাজ সফল হয় ততক্ষন চলবে তাদের এই অভিযান বলে জানান বন দপ্তরের আধিকারিক সহ অভিযানের প্রতিনিধিরা। এদিনের এই অভিযানে রয়েছেন ডক্টর কৌশল কানওয়ার শর্মা, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত, ডিন, ভেটেরিনারি কলেজ, আসম,ডাঃ আর কে সামল,আইএফএসপ্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন, ত্রিপুরা বনদপ্তর,
ডঃ অক্ষয় বোরদে আই এফ এস, খোয়াই জেলা বন আধিকারিক সহ অন্যান্যরা।