Manipur CRPF camp attack খতম ১১ Kuki জঙ্গি আহত এক CRPF
আবারো উত্তপ্ত মণিপুর। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে বিগত বছরেই নৃশংসতার চরম অবস্থা চাক্ষুষ করেছিল সেখানকার স্থানীয় সহ গোটা দেশ। এবার বছর ফিরতে না ফিরতেই আবারো মণিপুরের সিআরপিএফ ক্যাম্প কে ঘিরে নতুন করে আতঙ্ক।
মণিপুরের জিরিবাম জেলার সিআরপিএফ ক্যাম্প কে টার্গেট করে কুকি জঙ্গিরা গুলি বর্ষণ করায় এই নতুন আতঙ্ক বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য,
সোমবার জিরিবাম জেলায় এই হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। হামলার পালটা জবাব দেয় আধা সেনাবাহিনী ও । গুলি বাজি এক দিক নয়, বরং দুদিক থেকেই শুরু হয় আর এতেই লুটিয়ে পরে পরপর ১১ জঙ্গি। এদিকে এক আধা সামরিক জওয়ান ও অল্প বিস্তর আহত হয়েছে বলে খবর।
পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবার আগেই সামাল দিতে গোটা এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান ও পরে কারফিউ জারি করা হয়।
জিরিবাম এর বোরোবাকেরা এলাকায় এদিন বেশকিছু বাড়িতে আগুন লাগায় জঙ্গিরা। এর পরই সেখানকার বোরোবাকেরা পুলিশ স্টেশনকে নিশানা বানায়। এর পর সেখান থেকেই সিআরপিএফের ক্যাম্পে হামলার চেষ্টা চালায় জঙ্গিরা, এমনটাই জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিনিয়র আধিকারিক। গুলি বাজি শুরু হতেই পালটা জবাব দিতে নিরাপত্তাবাহিনীউল্টে গুলি চালায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় ১১ জন জঙ্গির। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে ৩টি একে ৪৭, ৪টি এসএলআর, একটি আরপিজি-সহ প্রচুর পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এই হামলায় আহত সিআরপিএফ জওয়ানকে এয়ারলিফট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিক ভাবে।
আরও গুরুতর বিষয় , এদিন মূলত জঙ্গিদের নিশানায় ছিল ওই এলাকায় থাকা একটি ত্রাণ শিবির। যদিও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে গুলি বাজির পর আর ত্রান শিবিরে আক্রমণ করতে পারেনি জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল জিরিবাম। শনিবার রাতেও জিরিবাম জেলায় জাইরাওন নামক এক গ্রামে মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইউএনএলএফের হামলায় এক কুকি মহিলা নিহত হয়েছিলেন। এর পর আবার রবিবার কুকি জঙ্গিরা এক মেইতেই মহিলাকে খুন করে। বিভিন্ন এলাকায় মেশিনগান, রকেটচালিত গ্রেনেড (আরপিজি) নিয়ে হামলা চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের উপর। সোমবারও মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলার খবর ছড়িয়ে পরে। আর এরই মাঝে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। বলা বাহুল্য মণিপুর এখনো জ্বলছে। জঙ্গি দের কবল থেকে নিস্তার পাচ্ছে না এখনো সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ রা ও। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রনে রাখতেই কঠিন পদক্ষেপ নিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।