Indian Railways news
বরযাত্রীর অপেক্ষায় হাওড়া স্টেশনে
দাঁড়িয়ে রইলো যাত্রীবাহী ট্রেন
ট্যাগ পরেই কি হতচকিত হচ্ছেন ? অবাক হবার মতো বটে। কিন্তু ঘটনা একেবারে সত্য। এবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইলো মুম্বাই থেকে রউনা হওয়া গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস ও অসম গামী সরাইঘাট এক্সপ্রেস।
সম্প্রতি মুম্বাই থেকে অসমের উদ্দেশ্যে রউনা হন চন্দ্রশেখর ওয়াগ নামের এক ব্যক্তি ও তার আত্মিয় পরিজন। উপলক্ষ্য ছিল চন্দ্রশেখরের বিয়ে। মুম্বাই থেকে গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস করে প্রথমে হাওড়া আসবেন । এর পর সেখান থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস করে রউনা হবেন অসমের সরাইঘাটের উদ্দেশ্যে। সেই অনুযায়ীই সমস্ত টিকিট কাঁটা।
এবার মুম্বাই থেকে হাওড়া যাবার পথে গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস আচমকাই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার বিলম্ব দেখায়। যাতে স্বাভাবিক ভাবেই উৎকণ্ঠায় ভুগতে শুরু করেন বর ও তার যাত্রীরা। সময় মতো হাওড়া না পৌছুতে পারলে সরাইঘাটের এক্সপ্রেস মিস হয়ে যাবে। এই দুশ্চিন্তায় বিভোর হয়ে অবশেষে নিজের এক্স হ্যান্ডেল যা কিনা সাবেক টুইটার , তাতেই একটি পোস্ট করলেন চন্দ্রশেখর। ট্যাগ করলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব ও ভারতীয় রেল বিভাগ কে। জানালেন সমস্ত সমস্যা এবং লগ্ন পেড়িয়ে যাবার ভয় ও জাহির করলেন। পোস্ট দেখা মাত্রই কিছুক্ষনের মধ্যেই সাড়া পান চন্দ্রশেখর ওয়াগ।
পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সহ হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার ও সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজারের কাছে এ সম্পর্কে নির্দেশ পাঠানো হয় ভারতীয় রেল বিভাগ ও খোদ মন্ত্রীর পক্ষ থেকে। এর পরেই তড়িঘড়ি গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস এর চালকের সাথে যোগাযোগ করে রেল টি যাতে দ্রুত গন্তব্যে পৌছায় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে চন্দ্রশেখর ও তার আত্মিয় দের জন্যে হাওড়ায় বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষায় রাখা হয় সরাইঘাট এক্সপ্রেস কে। ভারতের ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনা আগে ঘটেছে কি না তা আমাদের অজানা।
তবে ভারতীয় রেল বিভাগ যে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সাড়া দিয়ে দায়িত্ব সহকারে সমাধান দিয়েছেন সেটা কুর্নিশ প্রাপ্য ঘটনা।