Human Trafficking Tripura
মানব পাচারের মতো গুরুতর অপরাধ মূলক কাজের সাথে এখন জড়িয়ে পড়ছে ত্রিপুরা রাজ্যের নামও। শুক্রবার শেষ রাতে, মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে দুই জন। জানা যায়, গত ৩০শে এপ্রিল একটি মানব পাচারের মামলা নথিভুক্ত হয় জিআরপি থানায়। সেই মামলার তদন্তে নেমে ৬ জন বাংলাদেশী এবং একজন ভারতীয় মানব পাচারকারী কে গ্রেফতার করে জিআরপি থানার পুলিশ। এর পর আইনি পদ্ধতি মেনে তাদের কে কোর্টে প্রেরন করা হয় এবং তাদের কে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালায় জিআরপি থানার পুলিশ বাবুরা। সেই জিজ্ঞাসাবাদে আরও বেশ কিছু নাম বেড়িয়ে আসে। তাদের মধ্যেই দুজন কে গতকাল রাতে আটক করা হয়েছে।
জিআরপি থানার অফিস ইন চার্জ জানিয়েছেন, তাদের গ্রেফতার করার জন্য গত কাল সন্ধ্যা থেকেই উত পেতে বসেছিল জিআরপি থানা ও সিধাই থানার পুলিশ । অনেকদিন ধরেই তারা পালাতক ছিল। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় এরা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা বাদ চলছে। আজ তাদেরকে মহামান্য আদালতে ও তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য ধৃত দুই পাচারকারীর নাম বাপন ভৌমিক, পিতা – প্রয়াত বাবুল ভৌমিক, বাড়ি রাঙ্গামুরা ৭ নং ওয়ার্ড , বয়স ২০ বছর এবং অপরজন গৌতম সরকার, পিতা – প্রয়াত ব্রজেন্দ্র সরকার, বাড়ি হরিয়ানা খলা, বয়স ৩০ বছর।
আরও জানা যায় তারা অনেকদিন যাবত বাংলাদেশের ওপার থেকে বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করত। এই চক্রে আরও বেশ কয়েকজন সামিল রয়েছে। তবে তাদের সকলকেই ধরবার জন্যে জোর প্রয়াস চালাচ্ছে পুলিশ।
রাজ্যে একাধিক বার এধরণের মানব পাচারকারীদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। অন্যদিকে এনআইএর পক্ষ থেকে ও অভিযান চলছিল এই পাচার কাণ্ডের সাথে যুক্ত দের ধরপাকড় করবার জন্যে। সার্বিক দিক থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা মানব পাচারের ঘাটি হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বর্ডার লাগোয়া এলাকা গুলি তেই এধরণের ঘটনার মাত্রা বেশি কিংবা বর্ডার লাগোয়া এলাকার কিছু লোকই এধরণের পাচার কারবারের সাথে যুক্ত রয়েছে বলেও তথ্য উঠে এসেছে। পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের একেবারে কাছের রাজ্য বলতেই ত্রিপুরা এবং সেই সুযোগ কে দুর্দান্ত ভাবে কাজে লাগাতে চাইছে এই পাচার কারীরা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে এবং সেই অভিযোগ মুলেই আগরতলা জিআরপি থানার পুলিশ ও জোর প্রয়াস চালাচ্ছে এই অপরাধীদের জ্বালে তোলার জন্যে। আর সেই প্রচেষ্টা তেই এদিন ও এই দুই মানব পাচার কারীদের জ্বালে তুলতে সফল হয়েছে পুলিশ। এধরণের অভিযান আগামী দিনেও জারি থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন থানাবাবুরা। যাতে করে রাজ্যের এবং দেশের সুরক্ষা বজায় থাকে।