High court staff quarter
নেশার সাম্রাজ্যে পরিণত হয়েছে গোটা রাজ্য। আর সবচাইতে বেশি বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে খোদ আগরতলার বুকেই। রাজধানী আগরতলার আনাচে কানাচে এমনিতেই ড্রাগস,হেরোইন জাতীয় নেশা সামগ্রীর ছড়াছড়ি। প্রায় প্রত্যেকদিনই সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে এধরনের খবর। কিন্তু এবার আনাচে কানাচে নয়, একেবারে হাই কোর্টের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার নেশা সামগ্রী সহ কারবারি। সোমবার রামনগর তিন নাম্বার হাইকোর্ট স্টাফ কোয়ার্টার থেকে নেশা সামগ্রী সহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ড্রাগস,হেরোইন,ট্যাবলেট জাতীয় নেশা সামগ্রী এখন হাত বাড়ালেই যেন পাওয়া যায়। রাজধানীর অলিতে গলিতে চা-স্টলে, টং দোকানে অবাদে মুরি মুরকির মতো বিক্রি হচ্ছে এজাতীয় নেশা পণ্য।এখানেই শেষ নয় , এখন বাইক স্কুটিতে হোম ডেলিভারিও হচ্ছে কৌটা নামক নেশা দ্রব্য। এক ফোনেই কারবারিরা পৌঁছে যাচ্ছে নির্দিষ্ট ঠিকানায়। নেশা সামগ্রী সহ গ্রেপ্তারের ঘটনাও কিন্তু কম নয়। প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গা থেকে নেশা সামগ্রী সহ পুরুষ-মহিলা আটকের খবর সংবাদ আকারেও প্রকাশিত হচ্ছে। তবে সচেতন নাগরিকরা বরাবরই অভিযোগ করছেন রাঘববোয়ালদের জালে তুলতে পারছে না পুলিশ।
যে কারনে রমরমা ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না। কারবারিরা নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। আর তাতে যুব সমাজ ক্রমশ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন যুবকদের সাথে টেক্কা দিয়ে একটা অংশের যুবতিও এধরনের নেশায় আসক্ত হচ্ছেন। স্কুল,কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে বিনা বাধায় ঢুকছে নেশা সামগ্রী। রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে এইডস এ আক্রান্তের সংখ্যা। পরিসংখ্যান দেখলে চোখ কপালে উঠার উপক্রম। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রামনগর তিন নাম্বার, হাইকোর্ট স্টাফ কোয়ার্টার থেকে নেশা সামগ্রী সহ তিন জনকে আটক করল পুলিশ। জানা গেছে হাইকোর্ট স্টাফ কোয়ার্টার এ প্রয়াত তপন ঘোষের ছেলে বহুদিন যাবৎ ড্রাগস সেবন করে আসছে। আজ তার ঘর থেকে প্রায় ৫০০ খালি কৌটা এবং ড্রাগস ভর্তি প্রায় ১২ টি কৌটা উদ্ধার করে পাড়ার যুবকরা।পরবর্তী সময় খবর দেওয়া হয় রামনগর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে তাদের কে তুলে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনার সুত্র ধরে কারবারি পর্যন্ত পুলিশ পৌঁছতে পারবে কিনা তা নিয়ে সচেতন মহলে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ।