High court bar election
আগামী মাসেই হতে যাচ্ছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশানের নির্বাচন। আইনজীবীদের ভোটে আবারো বিজেপি লিগ্যাল সেলের মুখোমুখী সংবিধান বাঁচাও মঞ্চ। আর তাতে পুনরায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপি ও বিরোধী সমর্থক আইনজীবীদের দুই সংগঠনের মধ্যে।
দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ইন্ডিয়া ব্লক মঞ্চ সংবিধান রক্ষার শ্লোগান দিয়ে এসেছে। আর এই শ্লোগান এর প্রভাব ও অনেকটাই পরেছে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের ফলাফলে। একই মোদ্দা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল সমর্থিত আইনজীবীরা ও নিজেদের একটি মঞ্চ গরেছেন যার নাম দেওয়া হয়েছে সংবিধান বাঁচাও মঞ্চ। যারা বিজেপি সমর্থিত আইনজীবীদের বিজেপি লিগ্যাল সেল এর সাথে আসন্ন হাই কোর্টের বার এসসিয়েশান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন। মোট ১১টি পদের জন্যে হচ্ছে এই নির্বাচন এবং তাতে সংবিধান বাঁচাও মঞ্চ থেকে সভাপতি পদের জন্যে মনোনয়ন দাখিল করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী পীযূষ কান্তি বিশ্বাস।
বার অ্যাসোসিয়েশান নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়ে গেছে। আগামী মাসেই হচ্ছে নির্বাচন। হাইকোর্ট বার নির্বাচনে লড়াই হবে সংবিধান বাঁচাও মঞ্চ ও বিজেপি লিগ্যাল সেলের মধ্যে। আগস্ট মাসের ১০ তারিখ হবে হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচন। ১১ টি পদের জন্য আয়োজিত এই নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ২১৭ জন। ৩০ জুলাই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া যাবে, ৩১ জুলাই মনোনয়ন পত্র গুলি পরীক্ষা করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ১ আগস্ট । ১০ আগস্ট ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে চলবে দেড়টা পর্যন্ত আর সেদিনই হবে গণনা। এবারের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হলেন নেপাল মজুমদার। সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দেন সংবিধান বাঁচাও মঞ্চের প্রার্থীরা। সংবিধান বাঁচাও মঞ্চের হয়ে সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস ও সম্পাদক পদে সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত সরকার।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে মানে চলতি বছরের মার্চ মাসে ত্রিপুরা বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে বিজেপি-তিপ্রা মথা-আইপিএফটি জোটের “আইনজীবী উন্নয়ন মঞ্চ” প্রার্থীদের রেকর্ড ভোটে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম-কংগ্রেসের “সংবিধান বাঁচাও ফোরাম” এর আইনজীবীরা। সিংহ ভাগেই জয় হয়েছিল সংবিধান বাঁচাও ফরামের । এবারেও হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশানের নির্বাচনে পরাজয়ের মুখ দেখতে হতে পারে শাসক শিবির কে ।
তার পেছনে রয়েছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ। এর আগে হাই কোর্টের বার এসসিয়েশানে দু দুবার সেক্রেটারির পদে আসীন ছিলেন আইনজীবী প্রনবাষিস মজুমদার। যিনি এবারের নির্বাচনে বিজেপি লিগ্যাল সেলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এদিকে উনার জায়গায় বিজেপি লিগ্যাল সেল এর হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন আইনজীবী শঙ্কর লোধ। যা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যেই একটা ঠাণ্ডা রাজনীতি চলছে। আর এর ভিত্তিতেই বিশ্লেষকরা দাবী করছেন যে অন্তর্বর্তী কোন্দল এর জেরেই হয়তবা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বিজেপি লিগ্যাল সেল।
তবে আগামী ১০ই আগস্ট এই বোঝা যাবে যে হাই কোর্ট বার এসসিয়েশানের আগামী দিনের পরিচালনার দায়িত্ব কার হাতে যাচ্ছে। সংবিধান রক্ষার্থে সংবিধান বাঁচাও মঞ্চের জয় হবে নাকি বিজেপি লিগ্যাল সেলের সেটাই দেখার অপেক্ষা।