Deer hunter arrested
মানব জাতের লালসার বলি নিরীহ হরিণ, গ্রেফতার হরিণ চোরা সুনীল
মানব জাতি সর্ব ভুক প্রাণী। সেটা সবার জানা । তবুও প্রত্যেক প্রদেশ অনুযায়ী কিছু আইন প্রনয়ন রয়েছে। আপনি সর্ব ভূক বলেই যে সব কিছু খেয়ে নিতে পারেন এটা আইন স্বীকৃত নয়। একই ভাবে ভারতবর্ষে হরিণ শ্রেণীভুক্ত যে কোনো প্রাণী ততসঙ্গে আরও বহু প্রাণী হত্যা করা কিংবা সেবন করা নিষিদ্ধ। কিন্তু সমস্ত নিয়ম কানুন কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে একটা অংশ দেদার চালিয়ে যাচ্ছে মাংস বানিজ্য ও সেবন। এবার এমনই এক ঘটনায় হাহাকার পড়েছে ত্রিপুরার বিলোনিয়া মহকুমা জুড়ে।
এই মানুষের লালসার শিকারে হয়েই প্রাণ গেল এক নিরীহ হরিণের। শুধু তাই নয়, হরিণ যেখানে শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, সেখানে বেআইনিভাবে হরিণ শিকার করে ২০০০ টাকা করে সেই মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে । যদিও বা বনদপ্তরের আচমকা অভিযানে হরিণের মাংস আর বিক্রি করতে পারেনি চোরা শিকারিরা । মাংস সহ এক অটোচালককে গ্ৰেপ্তার করে তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের বনদপ্তরের কর্মীরা । বগাফা , কাকুলিয়া রাজনগর তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের বনদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিলোনিয়া মাইছড়া এলাকায় হরিণের মাংস বিক্রি করার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে তাঁকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে এই অভিযান চলে। মোট সাত কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয় এদিন। জানা যায়, এই অটোচালকের গাড়ির ভিতর থেকে মাংস উদ্ধার করে বনদপ্তরের কর্মীরা । পাশাপাশি অটোর মধ্যে এবং অটো চালকের হাতে রক্তের সন্ধান পায় তৃষ্ণা অভয়ারেঞ্জের বনদপ্তরের কর্মীরা । যদিও বা ধৃত অটো চালক হরিণের মাংস বিক্রি করে নি এবং হরিণ শিকার কান্ডের ঘটনার সাথে জরিত নেই বলে দাবি করেছে সে। বনদপ্তরের কর্মীরা ধৃত অটো চালককে জিজ্ঞাসা বাদ চালাচ্ছে এই হরিণ শিকার কান্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তার জন্যে। ধৃত অটো চালকের নাম সুনীল দাস।
তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন কর্মীরা।