Clash between BJP and Tipra Motha : বিজেপি ও তিপরা মথার মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ভাইস চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও ভাই, পরিস্থিতি থমথমে

Khabare Pratibad
3 Min Read
Clash between BJP and Tipra Motha

আগরতলা ১ জুন : যুব মোর্চার কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার খোয়াইয়ের তুলাশিখর রাজনগর বিজেপি ও তিপ্রা মথা দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। জানা যায়, এদিন সকাল দশটা নাগাদ খোয়াই মহকুমার তুলাশিখর ব্লকের পূর্ব রাজনগর এ ডি সি ভিলেজে বি জে পি এবং তিপ্রা মথার কর্মীদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। তিপ্রা মথার দলের আশ্রিত দুষ্কৃতিকারী তুলাশিখর ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, হজ্জতি, অগ্নিসংযোগ করে। এই সময় দুষ্কৃতীদের বাড়িতে আগমনের টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ভাইস চেয়ারম্যান সুতাম্বর দেববর্মা। ভাইস চেয়ারম্যান সুতাম্বর দেববর্মাকে বাড়িতে না পেয়ে তার ভাই ও তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে। তাছাড়া আশেপাশের বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায় মথার আশ্রিত দুষ্কৃতিকারী বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। অপরদিকে ভিলেজ অফিস সংলগ্নে বি জে পি দলের এক কর্মীকে পেয়ে বেধড়ক মারধোর করে মথার কর্মীরা বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ছুটে আসে চাম্পাহাওর থানার পুলিশ। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মথার কর্মীরা। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় খোয়াই হাসপাতালে। ভাইস চেয়ারম্যান সুতাম্বর দেববর্মার বক্তব্য, এলাকায় এদিন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে বাধা দিয়েছে মথার ব্লক সভাপতি হকেশ দেববর্মা, ভূপেন্দ্র দেববর্মা, বিপাসমেন দেববর্মা। তারা এদিন পুলিশের সামনে এ ধরনের তাণ্ডব লীলা চালিয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে তার স্ত্রী সোয়েতা দেববর্মা ও তার ভাই। মথার গুন্ডামি থেকে এদিন রক্ষা পায়নি অন্তঃসত্ত্বা মহিলা পর্যন্ত। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা অর্থাৎ ভাইস চেয়ারম্যানের স্ত্রীর পেটে পর্যন্ত আঘাত করেছে পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করে কোন ধরনের বাধা না দিয়ে পাল্টা এসআই শ্যামল দেববর্মা এবং রাজেন্দ্র রিয়াং ভাইস চেয়ারম্যানকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বলে কেন সে বাড় বাড়ান্ত , পুলিশের এ ধরনের ভাবমূর্তি দেখে তিনি আতঙ্কে ভুগছেন। তার বক্তব্য তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে। এবং দুই পুলিশ অফিসার দীর্ঘদিন ধরে চাম্পাহাওয়র থানায় থেকে মথা পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ ভাইস চেয়ারম্যানের। না হলে এদিনও পুলিশের সামনে সমস্ত ঘটনা সংঘটিত হলে পুলিশ কেন বাধা দেয়নি, এমনটাই প্রশ্ন ভাইস চেয়ারম্যানের? তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তিন দিন আগে এ ধরনের ঘটনা রীতিমতো নিরাপত্তা নিয়ে আঙ্গুল তুলেছে। পাশাপাশি ভিলেজ কমিটির নির্বাচনের আগে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব হাতে হাত মেলালেও পাহাড়ে এই একই গোষ্ঠীর মধ্যে চলছে লড়াই। দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনে তাহলে পাহাড়ের রাজনীতি আরো বেশি অশান্তিকর হয়ে উঠতে পারে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *