সনাতন কে গোঁড়া থেকে নির্মূল করতে চায় হিন্দু বিরোধী পাষণ্ড মৌলবাদী ইউনুস
বাংলাদেশে হিন্দু সনাতনিদের উপর অত্যাচার এবার চরম শিখরে। আইএসআই মদতপুষ্ট ইউনুস এর হিন্দু বিরোধী সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার এবার সনাতনী ধর্মের প্রচারক তথা পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। সনাতনীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতেই রাষ্ট্র দ্রোহের অপবাদ দিয়ে উনার বিরুদ্ধে মামলা করলো বাংলাদেশের জনৈক মোল্লা।
বাংলাদেশ কিংবা বর্তমান বাঙ্গিস্তান যে মোহম্মদ ইউনুস দ্বারা শাসিত হচ্ছে সেই ইউনুস এবং জামায়াত ইসলামী ও বিএনপি দের মিলিত প্ররোচনায় গোটা বাংলাদেশ কে হিন্দু মুক্ত করার যে কর্ম জজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতে লাগাম টানতে বেশ কিছু দিন আগে থেকেই একত্রিত হতে শুরু করেছেন সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
এরই মধ্যে ২৫ অক্টোবর আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামের লালদিঘি মাঠে গণসমাবেশ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার, সংখ্যালঘু কমিশন সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং দুর্গাপুজোয় পাঁচদিন ছুটি সেই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম। সমাবেশ শেষে ঢাকায় লংমার্চের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ওই সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। সমাবেশে তিনি বলেন, সনাতনীদের বাংলাদেশ থেকে উৎখাতের চেষ্টা হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। সনাতনীদের ওপর যতই নিপীড়ন হবে, আমরা তত বেশি ঐক্যবদ্ধ হব। দাবি আদায়ে বিভাগ ও জেলায় সমাবেশ শেষে আমরা ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করব।’
উনার এই প্রতিবাদী কণ্ঠে মুহূর্তের মধ্যেই আলোড়ন তৈরি হয় বাংলাদেশ জুড়ে। যাতে করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা এবার পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র দ্রোহের মামলা করেছে। যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। উনার সাথে আরও প্রায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে । যে সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা তার সবকটি কে মিথ্যে বলে জানিয়েছেন চন্ময় কৃষ্ণ দাস।
বুধবার রাতে দেশ দ্রোহিতার অভিযোগ এনে মোহম্মদ ফিরোয খান নামের এক ব্যক্তি চত্তগ্রামের কোতোয়ালি থানায় উনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যার পর থেকে ওপার এর পাশাপাশি এপারেও বাংলাদেশে হিন্দু সনাতনীদের উপর হয়ে চলা নির্মম অত্যাচার এর ঘটনা আরও একবার আলোচনার মূল বিষয় বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে পাকিস্তানি মতাদর্শে বিশ্বাসী ইউনুসের সরকার কোনো মোটেই সনাতন ও হিন্দু ধর্ম কে টিকতে দেবে না এমনটাই তাদের অঙ্গীকার। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূমি পুত্রদের ও অঙ্গীকার , এই বাংলার মাটি তাদের ও । বাংলা ছেড়ে তারা কোথাও যাবেন না। লড়াই করেই বাংলার বুকে বাচবেন তারা।
এবার দেখার বিষয় হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ অর্থাৎ আমাদের ভারত বর্ষের হিন্দু দরদী সরকার এবং সেই সমস্ত সনাতনী যারা দিবা রাত্রি সনাতন ধর্মের প্রচার ও সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার নামে প্রয়াস চালান তাদের পক্ষ থেকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রতিক্রিয়া কিংবা পদক্ষেপ গ্রিহিত হয় কিনা।