Amending constitution
দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার লুণ্ঠন এবং সংবিধান কে পাল্টে দেওয়ার পক্ষে আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকারের কু প্রচেষ্টা কে সবার সামনে তুলে ধরতে বহু বার উদ্যোগ নিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস। বার বার বলা হয়েছে যদি দেশে বিজেপি কে পুনরায় ক্ষমতায় আনা হয় তবে দেশের সংবিধান বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। কিন্তু এই বিষয়ে বিজেপি দলের অনুগামী এবং দেশের একটা বিরাট অংশের মানুষ এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। কিংবা সংবিধান পরিবর্তনের ফলাফল কি হতে পারে সেই নিয়েও কারো কোনো রূপ মাথা ব্যাথা নেই ।
এবার শাসক দলীয় এক প্রার্থীর বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গেল যে ২০২৪ এ পুনরায় সরকার গঠন করে দেশের সংবিধান কে পাল্টে ফেলতে চাইছে বিজেপি সরকার। শোনা যাচ্ছে সংবিধান পাল্টে ফেলার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া হয়ে গেছে। তবে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করলেই তাতে শিলমোহর পড়বে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আসন্ন লোকসভায় জয়লাভ করা এ কারনেও বিজেপি দলের কাছে অবশ্যম্ভাবী।
সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়ে একজন বিজেপি নেতার মন্তব্য বিজেপি দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কে গোলাবারুদ তুলে দিয়েছে। সিনিয়র নেতারা বলেছেন যে এটি একটি “ইচ্ছাকৃত কৌশল” এর অংশ। 30 মার্চ রাজাশনের নাগৌরে করা এক ভাষণে বিজেপির লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী জ্যোতি মির্ধাকে বলতে শোনা যায়, “জনগণের মঙ্গলের খাতিরে অনেক সময় আমাদের সংবিধানে কিছু পরিবর্তন করতে হয়। সেখত্রে আপনারা অনেকেই জানেন যে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয় আসনেই আমাদের দলীয় লোক থাকতে হবে। “ এই কথা বলতেই বিরোধী শিবিরের কাছে বিজেপি নেত্রীর এই বক্তব্য অস্ত্রের মতো কাজ করেছে। এবার এই অস্ত্র কে হাতিয়ার করেই বিজেপি শিবির এর লোকসভা নির্বাচনে জয় লাভের তীব্র স্পৃহার পেছনে লুকায়িত আসল রহস্য ফাঁস করে দিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস শিবির।
এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস উক্ত বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে লিখেছেন বিজেপি ঠিক একারনেই পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চায়। যাতে করে সংবিধান পাল্টে দিয়ে ভারতের আগামী ভবিষ্যৎ কে চিরতরে পঙ্গু বানিয়ে ফেলা যায়। মানুষের কথা বলার, প্রতিবাদ করার অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে তাদের কোণঠাসা করে রাখার ব্যবস্থা করতে চায় এই সরকার।
ভারতের শিক্ষিত অংশের ভোটার রা অবশই এই মন্তব্যের গভীরতা অনুধাবন করতে পারছেন। কারণ এর কিছু কিছু প্রমাণ বিগত ১০ বছরে পরিলক্ষিত হয়েছে। যার কুফল ভোগ করছে গোটা সমাজ ব্যবস্থা। সুতরাং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট বাক্সে ভোট দেবার আগে বরাবরই বিচার বিবেচনা করে নেবার আহ্বান জানাচ্ছেন বিরোধী শিবির ।