Sushanta Chowdhury strikes back

মানিক সরকার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, প্রোমো ফেস্ট এ আর্থিক খরচ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা মন্ত্রীর

কোটি কোটি টাকা খরচ করে , বহিঃরাজ্য থেকে ভারত শ্রেষ্ঠ শিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল কে এনে রাজধানীর বুকে ১৪ই ডিসেম্বর যে মনোরঞ্জনের আয়োজন করা হয়েছে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের সর্ব অংশের মানুষ। একদিকে যেমন দর্শকদের পক্ষ থেকে ভালবাসা উজার করে দেওয়া হয়েছে তেমনি অন্যদিকে মহকুমা বাসীর পক্ষ থেকে উগড়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষোভ। কারণ ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট এর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকিট এবং মহকুমা বাসীদের জন্যে বিশেষ করে টিকিট প্রাপ্তির কোনো ব্যবস্থা না করায় অনেকেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
এদিকে এই গোটা প্রোমো ফেস্ট কে ঘিরে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছেন বিরোধী শিবির। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার এক মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উল্লেখ করেন এই গোটা ফেস্ট এ প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েচে।
এছাড়া ও বহু অভিযোগ এবং নেগেটিভ বার্তা পাওয়া গেছে আম জনতার পক্ষ থেকেও। বন্যায় নিপীড়িত মানুষ জনদের পাশে না দাঁড়িয়ে সরকার একটা অনুষ্ঠানের জন্যে কোটি কোটি অর্থ খরচ করছে। রাজ্যে জ্বলন্ত নানা সমস্যা সমাধানের নাম নেই। এদিকে কোটি টাকা ঢেলে সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
আজ সমস্ত কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিলেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
প্রথমত, মন্ত্রী দাবী করেছেন যে এই ফেস্ট রাজ্যের পর্যটন শিল্প কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন ভাবে কি কি পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলা যায় সেই প্রচেষ্টা রয়েছে সরকারের।
এছাড়া এই ফেস্ট এর মধ্যে দিয়ে রাজ্যের ১৯ টি ভিন্ন ভিন্ন জনজাতি সংস্কৃতি কে সর্ব সমক্ষে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। শিল্পের বিকাশে এই ফেস্ট উপযোগী ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া শ্রেয়া ঘোষাল এর মতো একজন শিল্পী এই রাজ্যে এসেছেন তা গর্বের বিষয়। এর মধ্যে দিয়েও ত্রিপুরার নাম দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ত্রিপুরার দিকে আগামী দিনে বহিঃরাজ্য থেকে আরও বহু পর্যটক দের আনাগোনা বাড়তে চলেছে বলেও দাবী মন্ত্রীর।

এদিকে প্রাক্তনের ৭ কোটি টাকার মন্তব্য কে খণ্ডন করে , মানিক সরকার কে মিথ্যেবাদী এবং বিভ্রান্তি ছড়াবার অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ২৫ বছরে এই রাজ্যের মানুষ যা দেখেনি তা এই বর্তমান সরকার আসার পরে দেখতে পেরেছেন তারা। পর্যটন শিল্প কে বিকশিত করার কোনো প্রয়াস করেনি রাজ্যের প্রাক্তন বাম সরকার। তাই এই উন্নয়ন নিয়ে তারা কেবল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমনই দাবী করেছেন মন্ত্রী এদিন।
সর্ব শেষে, এই ফেস্ট নিয়ে বাস্তবে কত খরচ হয়েছে সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট ভাবে কোনো উত্তর না দিলেও ৭ কোটি যে খরচ হয়নি তা সুনিশ্চিত করেছেন। আনুমানিক দেড় কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে উনি জানান। যদিও আর কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত অডিট শেষ করে পুরনাঙ্গ তথ্য তুলে ধরবেন বলেও জানান এদিন তিনি।

Leave A Reply