NPP withdraws support from BJP
মণিপুর বিজেপিতে ধ্বস, সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলো জোট শরিক এনপিপি দল
মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই শান্ত হওয়ার নাম নিচ্ছে না। দীর্ঘ দুই বছর যাবত জ্বলছে মণিপুর। দুই জনগোষ্ঠীর মাঝে শান্তি সম্প্রীতি কায়েমে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। অবশেষে বিজেপির ব্যর্থতা কে চিনতে পেরেছেন মণিপুর এর বিজেপি শরিক দল এনপিপি। সমর্থন সরিয়ে নিয়েছেন দলের উপর থেকে। আর তাতেই এবার মণিপুরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বিজেপি।
এনপিপি প্রধান কনরাড সাংমা জানিয়েছেন বিজেপি কে সমর্থন প্রত্যাহার করার কথা।
২০২২ এর শেষের দিকে মণিপুরে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ এর জেরে গোটা মণিপুর জুড়ে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তখনও কেন্দ্র বিজেপি মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে এক বারের জন্যে ও যান নি। সেখানকার বিষয়ে কোনো কথা অব্দি বলতে নারাজ ছিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনে মণিপুরে কষিয়ে চড় মারা হয়েছে গেঁড়ুয়া শিবিরের দিকে এটা বলতে দ্বিধা নেই। যদিও ক্ষমতায় বিজেপি এনপিপি জোট ছিল। কিন্তু এবার সেটুকু ও থাকছে না।
সম্প্রতি ৬ জন মেইতেই সম্প্রদায়ের লোক এর হত্যাকাণ্ডে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর আরও একবার। রবিবার দু জন মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে একজন বয়স্কা মহিলা ও একটি ছোট্ট শিশু বলে জানা গেছে। এই নৃশংসতা ধরা পরতেই আরও বেশি জ্বলে উঠেছে মণিপুর। আর এর পর থেকে গোটা মণিপুর জুড়ে চলছে বীভৎস রকমের বিক্ষোভ। ভাঙ্গা হচ্ছে নেতা মন্ত্রী দের বাড়ি ঘর। বিজেপি দলীয় মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং এর উপর ও তার দলের উপর আস্থা হারিয়েছে শরিক এনপিপি। এন পিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমার বক্তব্য, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ বিজেপি। তাই তাদের উপর থেকে আস্থা হাড়িয়ে সমর্থন সরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এই নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কে চিঠি ও লিখেছেন তিনি। উল্লেখ্য মণিপুর বিধানসভায় ৭ জন এনপিপির বিধায়ক ছিল।
গতকাল , মণিপুরের পরিস্থিতি শুনে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচার বাতিল করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্। এর পরেই ডেকে ছিলেন জরুরী বৈঠক । সোমবারে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাথে জরুরী বৈঠক করার কথা রয়েছে।