CPIM submitted their first nomination
আগামী ৮ই আগস্ট রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১২ই আগস্ট হবে ভোট গণনা। এর আগে রাজ্যে ২০১৮ সালের পর থেকে বিধানসভা , গ্রাম পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে চূড়ান্ত ভাবে গাফিলতি এবং আইন অবমাননা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছিল বিরোধীরা। মূলত শাসক শিবিরের দিকেই বারবার ভোট সন্ত্রাস ও কারচুপির মতো অভিযোগ এনেছিলেন তারা। তাছাড়া প্রত্যেক নির্বাচনের আগেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে সাক্ষাৎ কারের মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবী রাখেন বিরোধীরা। কিন্তু তার পরেও দেখা যায় বিরোধীদের ঝুলিতে ভোটের সংখ্যা যে কি সেই তিমিরেই থেকে যায়। কিন্তু প্রচেষ্টা থামান নি তারা। তাই এবারেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একাধিক বার প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী শিবিরে মিলিত হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী শিবির কে।
আজ বৃহস্পতিবার আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল শুরু হয়েছে। সবার প্রথমে আজ বামেরাই নিজেদের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে গিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসকের কাছে গেলেন মনোনয়ন জমা দিতে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ১৬ টি আসনে আজ বামফ্রন্ট প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক বিশাল কুমার এর কাছে।
তার আগে আজ মেলার মাঠ সদর দপ্তর থেকে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে গিয়ে এদিন জেলা শাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। এদিনের মিছিলে রাজ্য বাম ফ্রন্টের নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মানিক দে, নারায়ন কর, শঙ্কর প্রসাদ দত্ত, পবিত্র কর প্রমুখ।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের তালিকা এখনো আসেনি। সেই মোতাবেক বামেরা সঙ্গবদ্ধ ভাবে একাই লড়াই করছেন আপাতত। জানিয়েছেন কৃষক নেতা পবিত্র কর । এদিকে বাম নেতা নারায়ন কর শাসক শিবির কে এক হাত নিয়ে বলেন রাজ্য ও দেশ জুড়ে অরাজকতা কায়েম করেছে বিজেপি সরকার। পঞ্চায়েত স্তরেও চরম পর্যায়ের ঘোটালা রয়েছে। জনগণের স্বার্থে এদের কাজ করার কোনো রূপ মানসিকতা নেই।
পার্লামেন্টে বিজেপি বিশাল মাপের ধাক্কা খেয়েছে। দেশবাসী বিজেপির মুখে ঝামা ঘসে দিয়েছে। পার্লামেন্টের ১৫৯ টি আসনে পরাজিত মোদী। হিন্দু মুসলিম করেই হয়তো এই পরিণতি। আর এক্ষেত্রে সব চাইতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন গ্রামের ভোটাররা। যেভাবে পার্লামেন্টারি নির্বাচনে ভোটাররা জবাব দিয়েছে, আগামী দিনে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাজ্য বিজেপি কে কড়া জবাব দেবে রাজ্যের গ্রামীণ ভোটার রা।