BJP press meet today
বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব দিতে আগামী ১৮ মে রাজপথে মিছিল করবে বিজেপি ,পাশাপাশি বিদ্যাজ্যোতি নিয়ে কথা বললেন বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। মিথ্যাচারিতার অপর নাম সিপিআইএম। তারা এখন আবার নতুন করে বিভ্রান্ত ছড়াতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। গোয়েবলসীয় কায়দায় তারা প্রচারের ময়দানে নেমে অসত্য ভাষণ করে চলেছে। তারা জনসাধারণকে বোঝায় এক রকম, আর বিভিন্ন ডেপুটেশনে গিয়ে তারা বলেন আরেক কথা।রাজ্যজুড়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে সিপিআইএম। শান্ত রাজ্যকে অশান্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। যেকোন ভাবে মানুষজনকে ক্ষেপিয়ে তুলে রাজ্যের উন্নয়নকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা নিয়েছে জনবর্জিত এই দলটি। রাজ্যের গরিমাকে খাটো করে দেখাতে চাইছে সিপিআইএম। তবে বিভ্রান্তি অপপ্রচার আর বদনাম ছড়িয়ে বদনাম করা যায় না সেটা তারা বুঝতে পারছে না। তাদের চরিত্র রাজ্যের মানুষজন সবই জানে এবং দেখছে। তবে দল ও চুপ করে বসে থাকবে না। তাদের অপপ্রয়াস রুখতে আগামী ১৮ মে বিকেলে রাজধানীতে পদযাত্রা এবং ধিক্কার মিছিল করবে প্রদেশ বিজেপি। বৃহস্পতিবার প্রদেশ বিজেপি ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা দিলেন প্রদেশ বিজেপি প্রবক্তা সুব্রত চক্রবর্তী। এদিন তিনি নিজের বক্তব্যে সিপিএমকে একপ্রকার তুলোধূনা করলেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার অপপ্রচেষ্টা নিয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্বরা। অপপ্রচারের মাধ্যমে তারা তাদের সেই পুরানো ডিক্স বাজিয়ে চলেছে, রাজ্যে কাজ নেই, খাদ্য নেই, রোজগার নেই, ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রকৃতপক্ষে রাজ্যে সিপিএমই নেই, তাদেরই খাদ্য নেই, তাদেরই কাজ নেই, আর তাদেরই রোজগার নেই। কারণ তারা জনবর্জিত। প্রকৃতপক্ষে তারাই বেকার। আর সেটা হয়েছে বলেই তারা এখন ধূয়ো তুলেছে রাজ্যে কিছুই নেই। কিন্তু রাজ্যের কোথায় কাজ নেই, কোথায় খাদ্য নেই সে বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য সিপিআইএম নেতৃত্বদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানালেন সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন সিপিআইএম নেতৃত্বরা নিজেদের স্ক্রিপ্টের বাইরে বেরোতে পারছেন না। তাই তারা অবগত নন রাজ্যে কোথায় কি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সুব্রত বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় রাজ্যের ২৮ লক্ষ ৭৭ হাজার সুবিধা ভোগী বিভিন্নভাবে ১৫ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে নিজেদেরকে স্বনির্ভর করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা, স্টার্ট আপ প্রকল্পে গোটা দেশেই রাজ্য এক উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে। স্ট্যান্ডআপ প্রকল্পে ত্রিপুরায় ৫০৪ টি এন্টারপ্রেনিয়র রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ শতাংশ রয়েছেন মহিলা। রয়েছে ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনরাও।স্বনিধি প্রকল্পের ৫ হাজার ১২৩ জন স্বরোজগারি হচ্ছেন। রাজ্য সরকার কর্মসংস্থানের জন্য এভাবেই রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে এবং বেকারদের উৎসাহিত করছে। অন্যদিকে সিপিআইএম নেতৃত্বরা বলছে শুধু কাজ নেই, কাজ নেই। এটাই তাদের প্রকৃত স্বরূপ। সিপিআইএম নেতৃত্বরা অভিযোগ করেন রাজ্যে কোথাও খাদ্য নেই, এই প্রসঙ্গে সুব্রত বাবুর দাবি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় রাজ্যের ২৫ লক্ষ মানুষ আজও সুফল পেয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিদ্যুৎ, পানীয় জল ইত্যাদি ইত্যাদি নেই বলে সিপিআইএম নেতৃত্বদের যে অভিযোগ, সেটা তাদের মানদন্ডে দাঁড়িয়ে কি দাবি করছে সেটা তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে না। কারণ কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেমন, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, এসব সমস্যা দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য রয়েছে। অপরদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উপর কারো কোন হাত নেই। সুব্রত বাবুর দাবি এক্ষেত্রে সিপিআইএম নেতৃত্ব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে, রেল পথে ধ্বস নেমে জ্জ্বালানি তেলের সংকট রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে স্বীকার করলেও, তারা হাট বাজার গরম করছে রাজ্যে জ্জ্বালানি তেল নেই বলে। তাছাড়া রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা, এই প্রসঙ্গে সুব্রত বাবু বলেন, বর্তমান শাসনকালে ছয় বছরের সরকার সব সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে সে কথা বললে ভুল হবে, কিন্তু যুদ্ধকালীন তৎপরতার পাহাড়ে প্রত্যন্ত বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের সুব্যবস্থা করে দিতে মিশন মুডে কাজ করছে রাজ্য সরকার। ২০২৪ সালের মধ্যেই জল জীবন মিশন প্রকল্পে সাড়ে পাঁচ লক্ষ বাড়িতে নলের মাধ্যমে পানীয় জলের সুব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সবকিছু নিয়েই অস্থির বাতাবরণ তৈরি করছে সিপিআইএম। এক্ষেত্রে প্রকৃত সত্য জানার প্রয়োজন রয়েছে রাজ্যবাসীর পাশাপাশি সিপিএমের এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রদেশ বিজেপি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ১৮ মে বিকেলে রাজধানীতে প্রতিবাদী ধিক্কার মিছিল সংগঠিত করবে প্রদেশ বিজেপি।