Sabroom faces extreme storm
বিধ্বংসী ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে একমাত্র বসত ঘর। সঙ্গে ব্যপক আহত ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা ৯ বর্ষীয়া কিশোরী। উল্লেখ্য , চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই তীব্র দাবদাহে পুরে ছারখার হয়ে যাচ্ছিলো গোটা ত্রিপুরা রাজ্য। সাব্রুম থেকে ধর্মনগর সর্বত্র প্রখর দাবদাহে প্রাণ যায় যায় ভাব মানুষের। অবশেষে দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা শেষে বৃষ্টিপাত শুরু হয় চলতি মাসের ১ তারিখ থেকেই। প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও বৃষ্টিপাত হবার খবর আসছে। এমনকি বেশ কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টি ও হয়েছে। তবে ৫ই মে রবিবারের ঝড় ও বৃষ্টির কারণে ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হল সাব্রুম এর এক হতদরিদ্র পরিবার কে।
৫ই মে ভোর রাতে গোটা সাব্রুম মহাকুমা এলাকায় ব্যাপক ঝড়ঝঞ্ঝার পর পুনরায় রাত আনুমানিক নয়টা নাগাদ ঝরে ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হয় সাব্রুমের লুধুয়া চা বাগানের বাগানপাড়া স্থিত হতদরিদ্র মৃদুল দাসের একমাত্র থাকার ঘরটি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গতকাল রাত আনুমানিক নয়টা নাগাদ প্রচন্ড ঝড়ে সাব্রুমের লুধুয়া চা বাগান স্থিত বাগানপাড়া এলাকায় হত দরিদ্র মৃদুল দাসের একমাত্র বসত ঘরটির উপর ভেঙে পড়ে ঘরের পাশে থাকা একটি বড় আম গাছ। ঘটনার সময় ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন মৃদুল দাসের স্ত্রী শিপ্রা দাস ও ছোট্ট দুই কিশোরী কন্যা অনুরাধা দাস এবং অনুপমা দাস। আচমকা গাছটি তাদের বসতঘরের উপর ভেঙ্গে পড়লে মারাত্মকভাবে আহত হয় নয় বছরের কিশোরী অনুপমা দাস। রাত আনুমানিক নয়টা নাগাদ লুধুয়া চা বাগানের অ্যাম্বুলেন্সে করে গুরুতর আহত অনুপমাকে নিয়ে যাওয়া হয় সাব্রুম মহকুমা হাসপাতালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর অনুপমাকে পাঠিয়ে দেয় শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য।
সকাল হতেই বাগান কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয় সম্বন্ধে জানান সাব্রুম মহকুমা প্রশাসনকে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সাব্রুম মহকুমা প্রশাসনের ডিসিএম মানোজ প্রভাকর পাল ও ডিসিএম অনন্য জয় চাকমা সহ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর সিভিল ভলেন্টিয়ারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা দল পতিত গাছটি সরানোর কাজে হাত দেন এবং মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র মৃদুল দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। এদিকে একমাত্র বসত ঘরের এই পরিণতি তে রীতিমতো মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে গোটা পরিবার। অন্যদিকে কিশোরীর চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। সেই নিয়েও ব্যপক দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার এই পরিবারের পাশে প্রশাসন কতটা সহযোগী হয় সেদিকেই তাকিয়ে আছেন তারা।