Tripura faces excessive flood after years
অস্বাভাবিক বন্যা প্লাবনে হাবুডুবু ত্রিপুরা।
ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষুদ্র রাজ্যে বিগত তিন দিন যাবত ভয়াবহ পরিস্থিতি। খোয়াই, হাওড়া, গোমতী, মুহুরি, দেও সহ সমস্ত নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠতেই বানভাসী হয়ে পরে সমতল এলাকা গুলিও। রাজধানী আগরতলার বুক ভেসে যায় বন্যা প্লাবনে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।
এ বছর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে পরপর দুবার প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হয়েছে ত্রিপুরা। তবে এই দ্বিতীয় বন্যাটি ছিল বিগত প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে একটি রেকর্ড মাপের বন্যা। বুদ্ধিজীবীরা ও বলছেন ত্রিপুরার ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা এটি। এর আগেও ২০১৭ সালে একবার প্রবল বন্যা হয়েছিল ত্রিপুরায় তবে তার ভয়াবহতার চাইতেও ভীষণ ছিল এবারের বন্যা। লা নিনার প্রভাবে তীব্র বন্যার সম্মুখীন রাজ্যের সর্ব স্তরের মানুষজন।
নদী তীরবর্তী এলাকা গুলি ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগরতলা শহরের হাওড়া নদী, কাঁটাখাল, খয়েরপুর, বলদাখাল, শ্রীলঙ্কা বস্তি, প্রতাপগড়, প্রফেসার পাড়া, ভিআইপি রোড, ইন্দ্রনগর, অভয়নগর ইত্যাদি জায়গা গুলি বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া রাজ্য ব্যাপি সিপাহিজলা, গোমতী, দক্ষিন ত্রিপুরা জেলা গুলিও ভীষণ ভাবে বন্যার জলের প্রতাপ দেখেছে। শান্তির বাজারে প্রায় ১০ জনের ও বেশি লোক ধ্বসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া রাজ্য ব্যাপি বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ নিখোঁজ। হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
এই অবস্থায় রাজ্যের এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ টিম প্রথম দিন থেকেই যথাসাধ্য উদ্ধার কাজে হাত লাগালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যে পাঠানো হয় আরও কিছু টিম। পাঠানো হয় চপার। সেই দিয়ে রাজ্য ব্যাপি উদ্ধার কাজ চলে। এমন কি আজকেও রাজ্যের গোমতী জেলা সহ দক্ষিনাংশে বিশাল সংখ্যক এলাকা জুড়ে মানুষ বন্যার কবলে আঁটকে আছেন। তাদের কেও উদ্ধার করা হচ্ছে এবং রাজধানী থেকে চপার ও হেলিকপ্টার যোগে তাদের কাছে ত্রান পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
সার্বিক দিক থেকে এই ভয়াবহ পরিস্থিত তে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার যৌথভাবে সহযোগিতা করছেন। তবে বহু মানুষের ঘর বাড়ি এই বন্যার প্রবল গ্রাসে হাড়িয়ে গেছে। তিল তিল করে গড়ে তোলা সংসার ভেসে গেছে। বহু মানুষ কাছের জন কে হারিয়েছেন। দুর্বিষহ এই পরিস্থিতি তে ত্রিপুরার সুস্থতা কামনা করছেন সকলেই।