. Sipahijala business hawkers : জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে নেই চর্চা, নিরীহ ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারতে মরিয়া একাংশ লোক

Sipahijala business hawkers

জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে নেই চর্চা, নিরীহ ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারতে মরিয়া একাংশ লোক

খাস জমি দখলিকরন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু খাস জায়গা বা সরকারি জায়গায় যদি দুটো পয়সা রোজগারের জন্যে কোনো গরীব ব্যবসায়ী স্টল পেতে বসে তবেই কেন জানি কিছু লোকের আঁতে ঘা লেগে বসে।
এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইলেন সিপাহিজলা অভয়ারণ্যের বাইরের কিছু ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলাধীন সিপাহিজলা অভয়ারণ্যের বাইরে সরকারি ভাবে কিছু দোকান ভিটে দেওয়া হয় জন কয়েক ব্যবসায়ী কে। সাড়া বছর এমনি তে সিপাহিজলা অভয়ারন্যে লোক সমাগম থাকলেও ঠাণ্ডার মরশুমে তা অনেকটাই বেড়ে যায়। পিকনিক স্পট বলে খ্যাত সিপাহিজলা অভয়ারন্যে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত থাকে প্রচুর ভিড়। মোদ্দা কথা এই কয়েকটা মাস দোকানীরা একটু ভালো ভাবে লাভের মুখ দেখেন। তাই তারা একটু বাড়তি জিনিস তোলেন দোকানে। সেগুলো দোকানের ভেতরে জায়গা না হলে বাইরে আরেকটু বর্ধিত জায়গা নিয়ে তারা পশরা সাজান। যা কিনা রাজধানী আগরতলার শকুন্তলা এবং হকারস কর্নার মার্কেটে নিত্য দিনের চিত্র। তবুও তা নিয়ে অনেকেরই মুখে কুলুপ আটা। কিন্তু এই সহজ সরল ব্যবসায়ী রা মাস কয়েকের জন্যে তাদের দোকানের ঠিক সামনেই খানিকটা পশরা সাজিয়ে বসায় হিতে বিপরীত পরিণতি হল তাদের।
কিছু অতি উৎসাহী লোক আজ তাদের কে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করার কারণ জিজ্ঞেস করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন যে সিপাহিজলার বন কর্মীরা ও তাদের কে এই নিয়ে একাধিক বার হুমকি ধমকি দিয়েছেন। কিন্তু তবুও , কাস্টমারের সংখ্যার অনুপাতে দোকানে জিনিস তুলে সেগুলো রাখার জায়গা হয়না বলেই তারা সামনের জায়গায় জিনিস গুলো রাখেন। যাতে কোনোভাবেই কারো ক্ষতি হচ্ছে না। অভয়ারন্যে পারকিং এর আলাদা জায়গা ও রয়েছে। লোক জন যাতায়াতের ক্ষেত্রে ও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবুও এই সামান্য বিষয় টিকে অত্যাধিক বাড়িয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করার চেষ্টা চালিয়েছেন কতিপয় লোকজন। যা একেবারেই ভিত্তিহীন।
রাজ্যে যেখানে হাজার হাজার খাস জায়গা দখল করে বসে আছে জমি মাফিয়ারা সেই নিয়ে কথা বলার মুরুদ নেই। জমি মাফিয়াদের কাছ থেকে মোটা মোটা ঘুষ নিয়ে তাদের প্রচার প্রসারে ব্যস্ত বহু সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল। কিন্তু , তাদের অপরাধ ও কেচ্ছা কাহিনী তুলে ধরার সৎ সাহস নেই। এদিকে নিরীহ কজন ব্যবসায়ী দুটো পয়সা কামাতে কারো কোনো ক্ষতি না করেই শুধু কিছুটা জায়গায় নিজেদের দোকানের সামগ্রী রাখছেন বলেই অনেকের গাঁ জ্বলে অঙ্গার। সমাজ কে শুধরানোর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমাজে ভুল ও ভিত্তিহীন বার্তা প্রয়োগ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা বোঝা উচিৎ অতি উৎসাহী সেই সকল ব্যক্তি বর্গের।

Leave A Reply