MLA vs TIDC chairman clash in Bishalgarh
DWS দপ্তরের কোটি টাকার কাজ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ কে ঘিরে উত্তপ্ত বিশালগড়। সূত্রের দাবী এর পেছনে জড়িয়ে আছে রাজনৈতিক কারণও। তবে তা ভিন্ন দলীয় রাজনৈতিক কারণ নয়। আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দলই রয়েছে এর পেছনে।
মূল ঘটনা, বিশালগড় DWS দপ্তরের ৫৬ কোটি টাকার একটি কাজের টেন্ডার দেওয়া কে ঘিরে। যেখানে সরকারের নিয়মানুযায়ী ই-টেন্ডার জমা করার সম্পূর্ণ সুযোগ এবং স্বাধীনতা রয়েছে এবং বলা হয়েছে যে যে কেউ এই টেন্ডার জমা করতে পারেন সেখানে টেন্ডার জমা না করার জন্যে এবং জমা করা টেন্ডার তুলে নেওয়ার জন্যে এক গোষ্ঠীর উপর অপর গোষ্ঠীর পাণ্ডারা জোর জুলুম খাটাচ্ছে বলে অভিযোগ।
বিশালগড়ে বরাবরই আড়ালে আবডালে বিধায়ক গোষ্ঠী এবং টিআইডিসি চেয়ারম্যান গোষ্ঠী নামাঙ্কিত দুটি ভিন্ন মতাদর্শী দল রয়েছে। যার বশীভূত হয়ে বিশালগড়ে দুর্গা পুজো অব্দি একটা সময় আলাদা আলাদা ভাবে আয়োজিত হতে শুরু করে। অকপটেই বলা যায় যে বিশালগড়ের এই রাজনৈতিক দুই ব্যক্তিত্বের ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক উভয় বিভেদই সবার কাছে জানা।
এতকাল তা প্রকাশ্যে না এলেও ইদানিং বেশ কিছু পরপর ঘটে যাওয়া বিতর্কিত ঘটনার কারণে তা লোকালয়ে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে বিশালগড় আনন্দ মার্গ বিদ্যালয় সংলগ্ন জায়গা নিয়ে বিবাদ প্রকাশ পেতেই মামলা পাল্টা মামলা হবার ফলে এই গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ পেয়েছিল। উপর মহলের চাপে তা কিছুটা দমে গেলেও এবার নয়া সমস্যার সম্মুখীন উভয় শিবির। তবে তার মধ্যে সব চাইতে বেশি অসুবিধার সম্মুখীন আম কার্যকর্তারা।
আবারো এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে বিশালগড় থানায় ব্যপক মাত্রায় ভিড় জমায় ভুক্তভুগিরা।
৫৬ কোটি টাকার কাজ নিয়ে TIDC চেয়ারম্যান VS বিশালগড় বিধায়ক দুই গুষ্টির ঠিকাদারের মধ্যে শুধু বাক বিতণ্ডা নয়, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অব্দি হয়েছে। প্রসেঞ্জিত সরকার ও বাদল পাল নামের এক ব্যক্তি টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে আপডেট নিতে ডিডব্লুএস দপ্তরে গেলে উনাকে হুমকি ধমকি দেওয়া হয় এবং আক্রমণ ও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নামে এফআইআর জমা হয়েছে তাদের নাম জয়েন্ত দাস, মন সরকার, রনবীর দেবনাথ প্রমুখ।
গোটা ঘটনায় এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠী কে দোষারোপ করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও করেছে আজ। বর্তমানে গোটা বিশালগড় সহ DWS অফিস চত্বরে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে খবর। এদিকে যাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে অভিযোগ কারীরা মূল সড়ক অবরোধ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।