Jolaibari peddy purchase
খাদ্য ও কৃষি দপ্তরের উদ্দ্যোগে জোলাইবাড়ীতে শুরু হল সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কাজ
রাজ্য সরকার চাইছে কৃষকদের আয় দ্বীগুন করতে। ২০১৮ সালে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর কৃষকদের উন্নয়ন এর স্বার্থে রাজ্যসরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে যার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের উৎপাদিত ধান সহায়ক মূল্যে ক্রয় করা।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জোলাইবাড়ী ষ্টেন্ডে সরকারিভাবে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কাজ শুরুহয়। বৃক্ষে জল দিয়ে ধানক্রয়ের কাজের শুভ সূচনা করেন জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। উদ্ভোধকের পাশাপাশি এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, শান্তির বাজার মহকুমাশাসক কে সি গুপ্তা, জোলাইবাড়ী কৃষিদপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাস, জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজিত দত্ত সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতে গিয়ে মন্ত্রী জানান বর্তমান রাজ্যসরকার কৃষকদের আয় দ্বীগুন করারলক্ষ্যে কাজকরেযাচ্ছে। বিগত বাম আমলে কৃষকদের কোনোপ্রকার সহায়তা করাহতোনা। বাম আমলে কৃষকদের ধান উৎপাদন হলে বিশেষ তহবিলের নামে চাঁদা ও ধান সংগ্রহ করতো। বাম আমলে কৃষকদের দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত করতো। বর্তমানসময়ে রাজ্যে পালাবদলের পর রাজ্যসরকার কৃষকদের উন্নয়নস্বার্থে কাজকরেযাচ্ছে। কৃষকদের জন্য কৃষান সন্মাননিধী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করাহচ্ছে। তার পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরকারি ভাবে ক্রয় করাহচ্ছে। রাজ্যসরকার কৃষকদের উন্নয়ন স্বার্থে বিভিন্ন প্রকারের কৃষিজ যন্ত্রপাতি বিতরন করছে। গত আগষ্টমাসে ভয়াবহ বন্যায় কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছে। এই পরিমানে ক্ষতির পরেও কৃষিদপ্তরের তত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে কৃষকরা পুনরায় ধানউৎপাদন করে সফলতা অর্জন করেছে। আগামী ৩রা জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে এইধানক্রয়ের কাজ। প্রতিকেজি ২৩ টাকা করে ধান ক্রয়ের কাজ চলছে। আজকের ধান ক্রয়ের কাজ সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানালেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। জোলাইবাড়ী বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্তথেকে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত ধাননিয়ে বিক্রিকরার জন্য ভীর জমায়। এইভাবে সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যায়।