Ex CJI Chandrachud
রাজনীতি তে নেই আমি, বড় বার্তা প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্র চূড়ের
বিচার পতির অবসরের পর রাজনীতি তে যোগদান , দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা গুলো বহুবার আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। হয়েছে তুমুল বিতর্ক ও। ইদানিং কর্মরত অবস্থা থেকেই পদত্যাগ করে রাজনীতি তে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর প্রাপ্তির পর রঞ্জন গোঁগোঁই ও যোগ দেন রাজনীতি তে। তাই বিচার পতি দের কর্মজীবন শেষে রাজনীতি তে যোগদান যেন একটা নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার একই ঘটনা সদ্য প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিউয়াই চন্দ্রচূড়ের ক্ষেত্রে ও হবে কিনা সেই নিয়ে জাগছে প্রশ্ন।
কিন্তু সেই প্রশ্নেই এবার ইতি টানলেন তিনি । জানালেন , রাজনীতি তে যাবেন না।
রবিবার সর্ব ভারতীয় বৈদ্যুতিন এক সংবাদ মাধ্যম কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল, “ অবসরের পর বিচারপতিদের রাজনীতি তে যোগদান যুক্তি সঙ্গত কিনা ?” । চন্দ্রচূড় জানান, তিনি উনার অবসর জীবনে এমন কিছুই করবেন না যা তার কর্মজীবন কালীন কোনো দায়িত্ব পালন বা কর্ম পদ্ধতি কিংবা বিচার ব্যবস্থায় তার নিখুঁত ভূমিকায় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি করবে। একজন সাধারণ মানুষ যা কিছুই করবে , সমাজ সেগুলো মনে রাখবেন না বা সহসা সমালোচনা ও করবেন না। কিন্তু একজন বিচারপতি যখন একই কাজ করবেন তখন তা সমাজের কাছে একটি বার্তা প্রেরন করবে। সমাজ তাঁকে সঠিক ভাবে গ্রহন করবেন না। তিনি আরও বলেন, অবসর জীবনে চলে গেলেও তিনি এখনো সবার কাছে একজন বিচারপতি। উনার দ্বারা কৃত যে কোনো কর্ম মানুষের মনে দাগ কেটে যাবে। তাই উনার বিচারপতি হিসেবে যে পরিচয় তাতে করে উনি এমন কিছু করবেন না যার ফলে মানুষের বিচারপতি কিংবা বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা হাড়িয়ে যাবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, অতীতে যারাই বিচারপতির পদ থেকে অবসর এর পর রাজনীতি তে যোগ দিয়েছেন তাদের সুনাম বা সততা কে তিনি আক্রমণ করছেন না , এমনটা উনার লক্ষ্য ও নয়। তবে অবসর জীবনে একজন পেশাদার বিচারপতি কি করবেন তা ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই উচিৎ। তাছাড়া বিচারপতি র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ হওয়ার অর্থ বিচারপতি থাকাকালীন সেই দলের প্রভাব তার কাজেও পড়েছে, মানুষ অন্তত এটা ভাবতেই পারেন। সুতরাং, অবসর জীবনে কি কর্ম আপনি বেছে নেবেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার গোটা অতীত জীবনের কার্যকলাপ সমালোচিত হবে।