Electric shock death
বাঁশ কাটতে গিয়ে ৬৩ হাজার ভোল্টে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে
শ্রমিকের মৃত্যু ত্রিপুরায়
মৃত্যু , কখন কার দ্বারে উঁকি মারে তা বলা অসম্ভব। কোনো না কোনো ভাবে প্রত্যেক দিনই অকালে ঝড়ে পড়ছে প্রাণ। মরণ যেন মানছে না কোনো বয়সের বাঁধন। অপ্রত্যাশিত ভাবে এবার বাঁশ কাটতে গিয়ে আর ফেরা হল না ঘরে এক বৃদ্ধের। ঘটনা শনিবার দুপুরে।
বাঁশ কাটতে গিয়ে ৬৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ পরিবাহি তারের সংযোগে আসতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বাবুল নমঃ নামের ৫৫ বছর বয়সের এক শ্রমিকের । ঘটনা সোনামুড়া থানাধীন ফকিরাদোলা নমঃ পাড়া এলাকায়। গোটা ঘটনায় নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মী সহ পুলিশ। জানা যায় অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের শ্রমিক বাবুল নমঃ । তিনি প্রতিনিয়ত বাঁশবেতের কাজ করেই কোনোমতে জীবনযাপন করতেন। শনিবার সকালেও বাড়ির পাশেই ফকিরাদোলা এলাকায় বাঁশের ঝাড় থেকে বাঁশ কাটতে যান তিনি। আর ঠিক সেই সময় ঝাড়ের উপর ৬৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ পরিবাহীর তারের সাথে বাঁশ ঝাড় স্পর্শ করে। সেই সঙ্গে বাঁশ কাঁটা অবস্থায় বাবুল নম ও সেই তারের সংস্পর্শে আসেন। যার ফলে সাথে সাথেই মৃত্যু হয় শ্রমিক বাবুল নমঃর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ৬৩ হাজার বিদ্যুৎ পরিবাহীর তারের সংস্পর্শে আসা মাত্রই মুহূর্তের মধ্যে চিরতরে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন শ্রমিক বাবুল নমঃ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফকিরা দোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ জনপ্রতিনিধিরা। পরবর্তী সময়ে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঝাড়ের ওপর থেকে জ্বলন্ত অবস্থায় থাকা শ্রমিক বাবুল নমঃ এর মৃতদেহ নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
তবে বাঁশের ঝারে এভাবে বৈদ্যুতিক পরিবাহী তার সংযোগের ফলে এধরণের ঘটনা আগামী দিনে আরও সংগঠিত হবার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যার ফলে বিদ্যুৎ নিগম কে উক্ত সমস্যার সমাধান দিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার আর্জি জানাচ্ছেন একাংশ মহল।
বর্তমানে বাবুল নমর এই অকাল প্রয়াণে ভাঙ্গে পড়েছেন তার পরিবার পরিজন। পাশাপাশি শোকের ছায়া বিরাজ করছে গোটা এলাকা জুড়ে।