. DYFI protest rally : ধর্মের নামে উস্কানি দিয়ে রাজ্যের শান্তি ভঙ্গের চেষ্টায় মগ্ন বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাত্র যুবাদের

DYFI protest rally

ধর্মের নামে উস্কানি দিয়ে রাজ্যের শান্তি ভঙ্গের চেষ্টায় মগ্ন বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাত্র যুবাদের

রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় ময়দানে নামলেন বামপন্থী ৪ টি ছাত্র যুব সংগঠন। শনিবার এই চারটি বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন যথাক্রমে SFI-TSU-TYF-DYFI এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানী স্থিত ছাত্র যুব ভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বেড় হয়ে শহরের রাজ পথ ঘুরে । কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে এই মিছিল সম্পন্ন হয় এদিন।
রাজ্যে এক অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। কখনো হামলা হুজ্জুতি দাঙ্গা তো কখনো ধর্মের নামে, সম্প্রদায়ের নামে উস্কানি দিয়ে বিভাজন সৃষ্টির নিরন্তর প্রয়াস চালাচ্ছে এই সরকার। আর এর প্রতিবাদ জানাতেই আজকের এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্বরা।
সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে এদিন সরব হয়েছেন তারা। অন্যদিকে সংবিধানের নামে শপথ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মন্ত্রীসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বে আসীন মন্ত্রী সুধাংশু দাসের কদিন বাদে বাদেই সামাজিক মাধ্যম কে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও সম্প্রতি ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রে মন্ত্রীর নিজস্ব এলাকায় এক বহিঃরাজ্যের ফেরিওয়ালা যুবককে ভিন ধর্মী হওয়ার কারণে অকথ্য আক্রমণ করার বিষয় টির ও নিন্দা জানিয়েছেন তারা। এই বর্বরতম ঘটনায় অভিযুক্ত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে বলেও দাবী জানিয়েছেন সংগঠন গুলো।
রাজ্যে একদিকে বেকারত্ব বাড়ছে। অন্যদিকে বাড়ছে চুরি চামারির মতো অপরাধ। খুন, সন্ত্রাস ও নেশার কবলে আঁশটে পিষ্টে জড়িয়ে পরা ত্রিপুরা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করছে। এই সমস্ত কিছু নিয়ে কদিন বাদে বাদেই বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী পক্ষ। কিন্তু তার পরেও শাসক শিবির বুক চিতিয়ে বলছে “ রাজ্যে চলছে সুশাসন “। যদি সুশাসনের ছবি এতটা বিকৃত হয় তবে তা বড়াই করে বলে বেড়ানোর মতো বিষয় একেবারেই নয়। বরং ভুল গুলো কে শুধরে নিয়ে প্রকৃত অর্থে সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করাটাই যে কোনো দলের শ্রেয় । অবশ্য শাসক বিজেপি নিজেদের ভুল ভ্রান্তি গুলোকেই স্বীকার করে নিক আগে। সেটুকু হলেও অনেক, এমনটাও অনেকেরই ধারণা।

Leave A Reply