Dhanpur Pump Operator
বিজেপি নেতার দাবড়ানি, জোরপূর্বক ইস্তফার কাগজে সই দিতে হল পাম্প অপারেটর কে
সিপিআইএম করলেই আপনার কপালে জুটবে চরম দুর্গতি। চলে জেতে পারে চাকরি , হতে পারেন চরম নির্যাতনের শিকার। এই উক্তি গুলোর স্বপক্ষে এবং বিজেপি দলের নামধারি কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে এমনি প্রমান মিলছে এবার ধনপুর এলাকায়।
ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা পেশায় পাম্প অপারেটর কে জোরপূর্বক তার পেশাগত দায়িত্ব তথা চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করলো বিজেপির দুই স্থানীয় নেতা। করা হল ঐ ব্যক্তির উপর অকথ্য শারীরিক নিরজাতন। ৫০ হাজার টাকা চেয়ে ও চাপ সৃষ্টি করা হয় উনার উপর। সব জেনেও মুখে কুলুপ এঁটে সমস্ত ঘটনা দেখে যাচ্ছেন এলাকার বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ। পাম্প অপারেটরের চাকরি খেয়েছেন খোদ বিন্দু বাবুই, এমনটা ও এবার অভিযোগ করছেন পাম্প অপারেটর শ্যামল দাসের পরিবার ।
সম্প্রতি রাজ্যে যে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় তাতেই ধনপুরের বাসিন্দা তথা দায়িত্ব প্রাপ্ত পাম্প অপারেটর শ্যামল বাবু দ্বারা পরিচালিত তেল কাজলা এলাকার পাম্প মেশিন এর ঘরটি ভেঙ্গে গোমতি নদির জলে তলিয়ে যায়। সরকারি পাম্প অফস ঘর ভেঙ্গে জাওয়ার খবর পঞ্চায়েত সহ ব্লকে ও পাঠান শ্যামল বাবু। কিন্তু এত মাস পেরিয়ে গেলেও তা সারাই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যার ফলে জলের সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
কিন্তু এরই মধ্যে স্থানীয় কিছু শাসক বিজেপি দলীয় নেতা নাকি শ্যামল বাবু কে ধমকিয়ে উনাকেই পাম্প হাউজ নির্মাণের জন্যে জায়গা দিতে বলেন। হতদরিদ্র শ্যামল বাবু তাতে সহমত না হওায় উনাকে দিয়ে জোরপূর্বক ইস্তফার কাগজে সই করিয়ে উনাকে চাকুরিচ্যুত করানো হয় বলে অভিযোগ। আর এই কাজে বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ নিজেও জড়িয়ে আছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
শাসক দলের নামধারী পিন্টু ঘোষ ও তুফান সরকার , এই দুজনের নাম উল্লেখ করে শ্যামল দাস গোটা বিষয় সাংবাদিক দের জানিয়েছেন এবং এই অন্যায় এর বিচার চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
তারা আরও বলেন যে পুরবে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তারা বামফ্রন্ট কে ভোট দিতেন। এখন রাজ্যে বিজেপি সরকার রয়েছে। তারা এখন বিজেপি কেই ভোট দেন এবং উপ নির্বাচনে ও বিজেপি প্রার্থী বিন্দু দেবনাথ কেই ভোট দিয়ে তারা জয়ি করেছেন। এর পরেও অভিযুক্ত বিজেপি নেতারা নাকি তাদের কে সিপিএম এর সমরথক বলে ধমকিয়ে তাদের এই অবস্থা করেছেন। যা আবারো প্রমান করে দিচ্ছে বিজেপি সাসিত ত্রিপুরায় কতটা বিপন্ন পর্যায়ে গণতন্ত্র। আপনি নিজের পছন্দ সই কোনো দল কে ভোট দিলেই আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে চরম দুর্ভোগ । বিশেষ করে পূর্বে বামঘাটি হিসেবে খ্যাত ধনপুরে জবে থাকে বিজেপি নিজেদের পতাকা বসাতে সফল হয়েছে তবে থেকেই একের পর এক দুর্নীতি ও বিন্দু দেবনাথের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উথতে শুরু হয়েছে। এর পরেও কি আগামি দিনে এই কেন্দ্রে বিন্দু দেবনাথ এর মত একজন কে জননেতা হিসেবে দেখতে চাইবেন আম জনতা ?
শ্যামল দাস এর সাথে ঘটে যাওয়া এই অন্যায়ের পরেই বা কি পদক্ষেপ নেবেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ স্তরীয় নেতৃত্বরা ? নাকি এই অভিযোগ মুলে আবারো দুষ্ট চক্রের চোখ রাঙ্গানির শিকার হতে হবে অসহায় শ্যামল বাবু কে , সেটাই দেখার অপেক্ষায় ধনপুর তেল কাজলার সাধাসিধে ভোটার ।