Congress held a huge gathering in Agartala
আইনের শাসন শেষের পথে, ত্রিপুরার বুকে বাড়ছে অপরাধ, জবাব চাইতে ডিজিপি অফিস ঘেরাও কংগ্রেসের
ডবল ইঞ্জিনের সরকার পরিচালিত রাজ্যে চুরি , ডাকাতি, খুন, নেশার রমরমা ব্যবসা, মানব পাচার, ড্রাগস স্মাগ্লিং, মাদক ব্যবসা, প্রতারণা, অপহরন, ধর্ষণ এর মতো অপরাধের রমরমা ভাব আজ জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে ও খবরের আকারে প্রকাশিত হচ্ছে।
বিগত ৬ বছরে কি এটাই উন্নতি হয়েছে ত্রিপুরার ?
বিশ্বের দরবারে ত্রিপুরা কে উপস্থাপন করতে গিয়ে লোক দেখানো স্মার্ট সিটি আর পোস্টারের রাজনীতি যে আঁখেরে কোনো কাজে দেবে না সেটা তো বুঝে উঠা প্রয়োজন ছিল এতো বছরে। কিন্তু বিপ্লব আমলে ও যা , মানিক আমলে ও তাই। বরং শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সমস্ত টাই একেবারে ধ্বংসের কাগারে।
রাজ্যে যুব সমাজের জীবন তলানিতে। নেই রোজগার, নেই কর্মসংস্থান। রেগা নেই, চাকরি নেই। শুন্যপদ থাকলেও নিয়োগ নেই। নেই নারীদের সুরক্ষা। বাঙ্গালী জনজাতির মিশ্র সংস্কৃতি তে পড়েছে বিশাল ভাঁটা। কলকাতা আরজি কর এর ঘটনার রেশ কাঁটার আগেই রাজ্যের বুকে ভূলুণ্ঠিত হয়ে গেল নাবালিকার সন্মান। কোনো হেলদোল নাই। নেই কোনো প্রতিবাদ। কেন ?
রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানব কল্যানের জন্যে ব্রত এই সরকার কি আদৌ ভাবছে মানব কল্যানের কথা ? অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটানো সাধারণ মানুষের আর্তনাদ শোনে কে ? মধ্যবিত্তদের জীবন ও এই ৬ বছরে হাঁসফাঁস করতে শুরু করেছে। বাক স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্রের হত্যা কাণ্ডের প্রস্তুতি চলে ক্ষণে ক্ষণে। আর এই সমস্ত কিছু দেখেও মুখ বুজে , চোখ বুজে যায় একটা অংশ।
কিন্তু আরেকটা অংশ প্রতিবাদে মুখরিত হয় বারবার। রাজ্যের এই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন কে বারংবার প্রশ্ন করে যান বিরোধীরা। আজ আরও এক বার সেই প্রতিবাদ ধ্বনিত হল আগরতলার বুকে।
সোমবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে রাজধানী ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী স্থিত ডিজিপি অফিস ঘেরাও করা হল। এদিনের এই কর্মসূচি তে উপস্তিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিষ কুমার সাহা, বিধায়ক সুদীপ রায় বমন, বিধায়ক গোপাল রায়, যুব কংগ্রেস এর যুবা শক্তি সহ কংগ্রেস এর কর্মী সমর্থকরা। প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ আজ রাজ্যের করুন পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরলেন আইনের রক্ষা কর্তাদের কাছে।
বটতলা থেকে ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী তে আসার সময় পথে পুলিশের বিশাল ব্যারিকেড থাকলেও জনঢলের কাছে তা টিকে থাকতে পারেনি। প্রতিবাদের জোরে ব্যারিকেড মুখ থুবড়ে পরে রাস্তার বুকে। পরে ডিজিপি কার্যালয়ের সামনে বসেই বিক্ষোভ দেখান তারা। এর পর এক প্রতিনিধি দল তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে কথা বলতে যান ডিজিপির সাথে। বলা বাহুল্য সাড়া জাগানো এই মিছিল আবারো জানান দিয়ে গেছে রাজ্যে এখনো কংগ্রেস এর হাত শক্তিশালী করার মতো জোরদার সমর্থন রয়েছে মানুষের। তবে আজকের এই দাবী দাওয়া পুরনে প্রশাসন কিরুপ ভূমিকা নেয় সেটাই দেখার বিষয়।