Citizen arrested with bangladeshi Taka

৬ বছর ধরে বাংলাদেশে বসত, ফেরার সময় সঙ্গে এলো সোনা সহ লক্ষাধিক বাংলাদেশী টকা

শুধু ওপার থেকে এবারে নয়, এবার এপার থেকে ওপারে গিয়ে বেআইনি ভাবে থাকা এবং ফেরার সময় লক্ষাধিক ঐ পারের টকা নিয়ে ফেরার অপরাধে আটক ভারতীয় নাগরিক। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘ ছয় বছর যাবত বাংলাদেশে থাকছিলেন প্রবীর দাস নামের এক ভারতীয় নাগরিক। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে স্বদেশে ফেরার পথে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানেদের হাতে আটক হন সেই ভদ্রলোক। সাথে আটক হয় প্রায় দুই লাখ পঁয়ষট্টি হাজার বাংলাদেশি টকা ততসঙ্গে ভারতীয় ৬৩০ টাকা । এছাড়াও আরও প্রায় লাখ টাকার অধিক স্বর্নালংকার পাওয়া যায় তার কাছ থেকে । ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার কদমতলা থানাধীন মোহনটিকি এলাকায়। শুক্রবার শেষরাতে তারকপুর বিওপির ৯৭ নং ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ভারত বাংলা সীমান্তের মোহনটিকি এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। ঠিক ঐ অবস্থায় এক ব্যক্তি কাঁটা তার কেটে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে যা বিএসএফ জওয়ানদের চোখে পরে যায় । তখন কতর্ব্যরত জওয়ানরা ঐ ব্যক্তিকে আটক করে বিওপিতে নিয়ে আসে। পরে সীমান্ত রক্ষীর উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ধৃত প্রবীর দাস এর কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ পঁয়ষট্টি হাজার বাংলাদেশি টাকা,ভারতীয় ছয়শো ত্রিশ টাকা,লক্ষাধিক টাকার স্বর্নালংকার সহ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে সীমান্ত রক্ষী জওয়ানরা ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে তার নাম । উল্লেখ্য তার বয়স ৪৭ বছর , পিতা মৃত পুলিন দাস। তার বাড়ি কদমতলা থানা এলাকার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে বলে জানায় সে। আরও জানা যায় সে ২০১৮ সালে তার মায়ের মৃত্যুর পর মায়ের স্বর্নালংকার নিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চলে যায়।

Citizen arrested with bangladeshi Taka
Citizen arrested with bangladeshi Taka

সেখানকার সিলেট বিভাগের মিজাইঙ্গেলে যায় সে। সেখানে দীর্ঘ ছয় বছর দিনমজুরের কাজ করে প্রবীর। কিন্তু বিগত ছয়মাস যাবৎ সে শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওখানে । সাথে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিবেশের কারনে পুনরায় নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় প্রবীর দাস। সে আরও জানায়, তার দীর্ঘ ছয় বছরের উপার্জনের কষ্টার্জিত অর্থ এগুলি আর স্বর্নালংকার গুলি তার মায়ের। এদিকে সীমান্ত রক্ষী জওয়ানরা তাদের সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার রাত আনুমানিক সোয়া আটটার দিকে ধৃতকে টাকা ও স্বর্নালংকার সমেত কদমতলা থানার হাতে হস্তান্তর করেন। কদমতলা থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত দেবনাথ জানান, তিনি একটি পাসপোর্ট এক্টে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছেন ধৃতের বিরুদ্ধে । রবিবার ধৃতকে ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হয়।

Leave A Reply