BJYM rally breaks traffic rules

ট্র্যাফিক দপ্তরের নিয়মের বালাই নেই, হেলমেট ছাড়াই হচ্ছে শাসক দলীয় বাইক রেলি

রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের নিয়মাবলীর আদ্য শ্রাদ্ধ করলো যুব মোর্চা। বর্ণাঢ্য মিছিলে আবারো হেলমেট বিহীন যুব মোর্চার কর্মীরা। প্রতিনিধিত্ব করলেন খোদ যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব। ট্র্যাফিক বাবুদের দেখা মিললো না কোথাও। দেখা গেল না আদায় করতে ফাইন। রাজ্যের আপামর সাধারণ মানুষ ও যুব মোর্চার কর্মীদের মধ্যে ট্র্যাফিক নিয়মাবলী নিয়ে এই দ্বিচারিতা কেন ?

যখনি আপনি বা আমার মতো সাধারণ মানুষ কোনো কারণে হেলমেট পরিধান না করে ট্র্যাফিক বাবুদের সামনে পরে যাই তখন এক মুহূর্তের মধ্যেই ১০০০ টাকার জরিমানা রিসিপ্ট ধরিয়ে দেওয়া হয় হাতে অথবা সিসি ক্যামেরার দৌলতে ফাইনের নোটিশ চলে আসবে আপনার মোবাইল ফোনে। আর এই ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে কোথাও না কোথাও। শহরের বুকেই বিভিন্ন জায়গায় ফাইন আদায় করার জন্যে উত পেতে বসে থাকেন ট্র্যাফিক বাবুরা। এদিকে সাধারণ মানুষ কোনো কারণে যদি হেলমেট বিহীন অবস্থায় ধরা পড়ে যান তবেই ট্র্যাফিক বাবুদের ফাইন দিতে দিতেই নাভিশ্বাস উঠে যাবে ।
কিন্তু রাজ্যের রাজপথ গুলোতে যখনি কোনো বাইক রেলি বা মিছিল হতে দেখা যায় তাতে অধিকাংশই হেলমেট পরিধান না করলেও তাদের কাছ থেকে কোনো জরিমানা আদায় করা হয়না। কোথাও কি এই নিয়ম উল্লিখিত রয়েছে ?
আশ্চর্য জনক ভাবে শাসক দলীয় যে কোনো বাইক রেলির ক্ষেত্রেই একই ঘটনা বারবার পুনরাবৃত্তি হতে দেখা গেছে। এর আগেও একাধিক বার একই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে পত্র পত্রিকায় বহুবার সমালোচিত হয়েছে রাজ্য বিজেপি ও ত্রিপুরা ট্র্যাফিক পুলিশের এই দ্বিচারিতাভাব । তার পরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কেন ?
শাসক দলের লোক হলেই কি তবে আপনার সমস্ত ভুল , অন্যায় অপরাধ ক্ষমা কিংবা ছাড় পাওয়ার যোগ্য । শহরের বুকে দেদার হেলমেট ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে একাংশ বাইক চালক। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শাসক বিজেপি দলের সাথে যুক্ত। কিছুদিন আগে ট্র্যাফিক নিয়ম উলঙ্গনের দায়ে নেতাজী চৌমুহনী এলাকায় যে কতিপয় তিন যুবক রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের সাথে অভব্য আচরণ করেছিল তারাও ছিল যুব মোর্চার একনিষ্ঠ কর্মী।
আজ শুক্রবার দক্ষিণ জেলা থেকে যুব মোর্চার উদ্যোগে যে নমো যুব যাত্রা বাইক রেলির আয়জন করা হয় তাতে বিধায়ক সুশান্ত দেবের প্রতিনিধিত্বে বহু যুব মোর্চার কর্মীরা অংশ গ্রহন করেন। ছিলেন কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা ও । তাদের মধ্যে অনেকেরই মাথায় ছিল না হেলমেট। দক্ষিন জেলা থেকে কমলাসাগর পর্যন্ত বাইক রেলি করে আসা এই হেলমেট বিহীন বাইক চালকদের কি জরিমানা করবেন ট্র্যাফিক পুলিশ ? যদি না করেন তাহলে রাজ্যের ট্র্যাফিক দপ্তরের আধিকারিক ও রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আরও একবার প্রশ্ন – ট্র্যাফিক দপ্তরের নিয়মাবলীর ঊর্ধ্বে কি রাজ্যের শাসক দল বিজেপির সরকার ও আপনাদের কার্যকরতারা?
বারংবার একই ভুল পুনরাবৃত্তি হবার অর্থ এটা আর কোনো ভুল নয়। এটা এক প্রকার অভ্যাস, যা তাদের শিরায় শিরায় মিশে গেছে এবং এর পেছনে দায়ী রাষ্ট্র বাদী দলের কাছে পরাস্ত রাজ্য পুলিশ প্রশাসন।
যদি আজকের এই ঘটনার পরেও দলের পক্ষ থেকে এধরণের ভুল ত্রুটি সংশোধন করা না হয় তবে আগামী দিনে আম জনতা ও ট্র্যাফিক বাবুদের ঘুড়িয়ে তাদের দায়িত্বে গাফিলতির কারণ দর্শীয়ে দিতে দ্বিধা বোধ করবেন না। জনদরদি বিজেপি সরকার এবং যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির ও এই বিষয় টি নিয়ে ভেবে দেখা এবং প্রয়জনানুজায়ি পরিবর্তন আনাটাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি আমরা।

Leave A Reply