Bangladesh against neighbor country India
মুক্তির স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের বর্তমান শত্রু এখন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহযোগী দেশ ভারত
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ভারত যদি সহযোগিতা না করতো তবে বাংলাদেশ আজ বাংলাদেশ রূপে স্বীকৃতি পেত না। মুজিবুরের লড়াই এ সহযোগিতা করেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী । পশ্চিম পাকিস্তানের বাঙ্গালী বিরোধী মতাদর্শ থেকে চিরকালের জন্যে মুক্তি পেতে পূর্ব পাকিস্তান কে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাইয়ে দেওয়ার লড়াইয়ে প্রাণ পাৎ করতে হয়েছে লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী কে।
সেই লড়াই সংগ্রামে ভারতের সদর্থক ভূমিকা ছিল। যার কারণে বর্তমান বাংলাদেশের আইএসআই মদত পুষ্ট ইউনুস সরকারের অনেকের কাছেই বিষের কারণ। এবার সরাসরি মোঃ ইউনুস সরকারের আইনি উপদেষ্টা তথা মুক্তি যুদ্ধের বিরোধী শক্তির অন্যতম এজেন্ট আসিফ নজরুল জানিয়েছেন যে ভারত নাকি বাংলাদেশের বন্ধু নয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত হয় এক জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশানের অনুষ্ঠান। তাতেই আসিফ নজরুল মন্তব্য করেন যে বাংলাদেশের চারপাশে বন্ধু দেশ বলে কেউ নাই। তারা শুধু বাংলাদেশ কে হেয় করতে , ছোট ঘটনা কে বড় আকারে প্রকাশ করতে পছন্দ করে। নাম না করেই ভারত কে ইঙ্গিত করলেন তিনি। ইনিই সেই ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশে তিলে তিলে ভারত বিরোধী চিন্তা ধারাকে বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। ভারত বিরোধী শ্লোগান কিংবা ভারতিয়পন্য বয়কটের ডাক দেওয়ার পেছনে ও মূল মাথা ছিলেন ইনিই। এমন কি বাংলাদেশে ভারতের ২৬ লক্ষ চাকুরী জিবি রয়েছে বলেও রটনা রটিয়েছিলেন এই আসিফ নজরুলই। যদিও এটা ঠিক যে প্রায় ৮ হাজার ভারতীয় বাংলাদেশে চাকুরী করেন। কিন্তু আসিফের বক্তব্য ও তথ্য কে ব্যাখ্যা দিয়ে অনেকেই বলছিলেন যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের কেই তিনি ভারতীয় বলে আবার আখ্যা দিতে চাইছেন না তো ।
হাসিনা সরকারের পতন হতেই আসিফ নজরুল কে বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রকের উপদেষ্টা করার পর তিনি বাংলাদেশী শিল্পপতিদের নির্দেশ দেন ভারতীয় কর্মজীবী দের তাড়ানোর জন্য। সুতরাং এবারে ও উনার এই ভারত বিরোধী বার্তা খুব এক তা অবাক করার বিষয় ছিল না।