Aichuk Debbarma death : মারপিটের জেরে আরও এক জনজাতি যুবকের মৃত্যু, অপরাধীদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ

Khabare Pratibad
3 Min Read

Aichuk Debbarma death

রথ যাত্রা কে কেন্দ্র করে গণ্ডা ছড়ার আনন্দ মেলায় কিছু দুর্বৃত্ত যুবক দ্বারা আক্রান্ত হয়ে রিয়াং ছাত্র পরমেশ্বরের মৃত্যুর ঘটনার রেশ কেটে উঠার আগেই আরও এক জনজাতি যুবকের মৃত্যুর খবরে আতঙ্কিত মানুষ।
ঘটনা ১৯শে জুলাই খারচি মেলায় আসার পথে। পুরাতন আগরতলা স্থিত চতুর্দশ দেবতা প্রাঙ্গনে প্রতিবারের মতোই এবারো খারচি মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতি বারের মতোই এবারো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন ভক্তরা। দর্শনার্থী এবং মেলা উপভোগী জনগণের ভিড়ে মিশে যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে খারচি মেলায় গেলেও মেলা থেকে আর বাড়ি পৌঁছানো হল না আইচুক দেববর্মা নামক ঐ যুবকের। তার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো সে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় , গত ১৯শে জুলাই শনিবার রাতে লেফুঙ্গা থানার অন্তর্গত জয়রাম মোদী পাড়ার আইচুক দেববর্মা নামের এক যুবক খার্চি মেলা থেকে আসার সময় তার প্রতিবেশীরা তাকে বোধজংনগর গ্যাস বটলিং এর সামনে বেধড়ক মারধর করে সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে। আহত অবস্থাতেই সে কোনোক্রমে নিজ বাড়িতে গিয়ে পৌছায়। সে রাতে কেউ আর কিছু টের পায়নি। পরবর্তী সময় আইচুক দেববর্মার নিজ ঘর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয় । এই ঘটনায় রীতিমতো হতভম্ব হয়ে পরে তার পরিবার সহ এলাকাবাসী। এই ঘটনায় মৃত যুবকের বাড়ির লোক অভিযোগ করেন তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের এর পর পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে বলে জানা যায়। কিন্তু জয়রাম মোদী পাড়ার স্থানীয় জনগণ এবং মৃত যুবকের পরিবার তাকে মারধরের সঙ্গে যুক্ত আরো ৫ জনের নাম ধাম সহ তাদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে। আজ সোমবার লেম্বুছড়া স্থিত এসডিপিও মোহনপুর এর অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে করতে ডেপুটেশন প্রদান করেন তারা। এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত জানান স্থানীয়রা তাদের দাবি নিয়ে। পাশাপাশি লেম্বুছড়া ফাঁড়ির ওসি মৃণাল পাল এই বিষয়ে জানান । এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পরপর দুই দুইজন জনজাতি যুবকের মৃত্যু কে ঘিরে স্বাভাবিক অর্থেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুটি খানিকটা ভিন্ন হলেও অভিন্ন। উভয় ক্ষেত্রেই বাক বিতণ্ডা কে কেন্দ্র করে মারপিট এবং তার জেরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে গণ্ডা ছড়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তেমনটা যেন লেম্বু ছড়াতে না হয় সেজন্যে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারির প্রয়োজন বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবীরা। অন্যদিকে দোষীদের দ্রুত জ্বালে তুলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার ও দাবী উঠছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *