ভুলভাল ঔষধ দিয়ে বিপাকে এক ঔষধ ব্যবসায়ী
মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধে সংকটাপন্ন রোগীর জীবন। অথচ কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন সিপাহীজলা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন করা ট্যাবলেটের পরিবর্তে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন দিয়ে বিপাকে এক ঔষধ দোকানদার। ঘটনা বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের সামনে। খবর নিয়ে জানা গেছে সম্প্রতি এক রোগী প্রচন্ড বুক ব্যথা নিয়ে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে আসে। চিকিৎসকরাও যথারীতি তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন করা ট্যাবলেটের বদলে সাইক্লোপাম্প নামক একটি ইনজেকশন দিয়ে দেয় রোগীর পরিবারকে। সৌভাগ্যবশত এটি ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসলেই রহস্য বেরিয়ে আসে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় ঔষুধটি গত এক বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।এরপর রাতেই রোগীর পরিবারের সাথে মানুষ মারার কারিগর তথা ঔষধ ব্যবসায়ী তাপস ভৌমিকের একপ্রস্থ বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।এরপর সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানানো হলে তারা সঙ্গে সঙ্গেই সিপাহীজলা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশীষ দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উল্টো সাংবাদিকদের এক প্রস্থ পাঠ পড়িয়ে দেন। তিনি ওই দোকানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উল্টো সাংবাদিককে সমস্ত তথ্য প্রমান ডকুমেন্ট কালেক্ট করে উনার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে ওই ওষুধ দোকানে গিয়ে দেখা যায় ব্যবসায়ীর ড্রাগ লাইসেন্সটি গত ২০১৮ সালেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তিনি নবীকরণ করানো কোন লাইসেন্স দেখাতে পারেনি সাংবাদিকদের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সাত বছরের উপর ওই ঔষধ ব্যবসায়ী লাইসেন্স ছাড়া কি করে অবাধে ব্যবসা করে যাচ্ছে? জেলার ড্রাগ কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের কোন অস্তিত্ব আছে কিনা সে প্রশ্নই এখন সাধারণ মানুষের।